Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


রাজধানীর পানিতে মলের জীবাণু: জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের গবেষণা

Main Image

জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে রাজধানীর পানি নিয়ে গবেষণা চলছে


রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও মিরপুরের বাসা-বাড়ির ৪০ ভাগ পানিতে মানুষের মলের জীবাণু পাওয়া গেছে। এমন দূষিত পানি পান করাসহ দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করছেন সাধারণ নগরবাসী। জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। এ জন্য অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিলিভিশন অনলাইন। 

গবেষণায় পানিতে তিন ধরনের ব্যাকটেরিয়া পেয়েছেন গবেষকরা। এসব জীবাণু আসে মানুষের মল থেকে। ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড, হেপাটাইটিস ও অ্যামিবিয়াসিস রোগের কারণ এসব ব্যাকটেরিয়া।

পানিতে ক্ষতিকর কিছু আছে কিনা তা জানতে মিরপুর ও যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন বাসা-বাড়ি থেকে পানির ১৫০টি নমুনা সংগ্রহ করে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট। ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয় নমুনা। তাতে গবেষকরা ৩০ ভাগ খাওয়ার পানির পাত্রে ব্যাকটেরিয়া পেয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ৭৫ ভাগ পানির ট্যাঙ্কিতেই পাওয়া গেছে জীবাণু।

জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের গবেষণায়, যাত্রাবাড়ী ও মিরপুর এলাকার বাসা-বাড়ির খাওয়ার পানিতে ৩০ ভাগ, রান্নাঘরের পানিতে ২৫ ভাগ, গোসলের পানিতে ৪৫ ভাগ এবং ট্যাঙ্কির ৭৫ ভাগ পানিতে মলের জীবাণু মিলেছে। 

এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন বলেন, যদি কোনো কারণে পানি কনটামিনেটেড হয়, ফিকাল দিয়ে, প্রস্রাব-পায়খানা দিয়ে, তাহলেই অর্গানিজম চলে আসে সুপেয় পানিতে। আমাদের ধারণা, যে এলাকায় আমরা পানিতে জীবাণু পেয়েছি তার কারণ হতে পারে পানিতে এসব অন্য কোনো সোর্স থেকে এসেছে। পানি আসার সিস্টেমে কনটামিনেশন হয়েছে। আরেকটা কারণ হতে পারে পানির ট্যাঙ্কি পরিষ্কার না করা।'

ডা. নাসির উদ্দীন বলেন আরও বলেন, দীর্ঘদিন যদি রোগগুলো কোনো মানুষের থাকে তখন তার ক্রনিক ডিজিজ হয়ে যায়। তখন সে দুর্বল হতে থাকে, শারীরিক সক্ষমতা কমতে থাকে। তখন সে ঠিক মতো পরিবারে কন্ট্রিবিউট করতে পারে না।

ঝুঁকি এড়াতে সরাসরি না খেয়ে পরিশোধন করা পানি খাওয়ার পরামর্শ গবেষকদের।

আরও পড়ুন