Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


গাজার আল-শিফা হাসপাতালও বন্ধ

Main Image

ইসরায়েলি সেনাদের হামলা ও জ্বালানি সংকটে বন্ধ হয়ে গেল ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার আল-শিফা হাসপাতাল


ইসরায়েলি সেনাদের হামলা ও জ্বালানি সংকটে বন্ধ হয়ে গেল ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার আল-শিফা হাসপাতাল। একইদিনে বন্ধ হয়ে যায় গাজার আল-কুদস হাসপাতাল। এ দুটি হাসপাতাল ছিল গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল। ফলে মানবিক বিপর্যয় আরও চরম আকার ধারণ করেছে উপত্যকাটিতে। 

বন্ধ ঘোষণার আগে আল-শিফা হাসপাতালে হামলা চায় ইসরায়েল। এতে তিন জন নার্স নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার সবচেয়ে বড় আল-শিফা এবং আল-কুদস হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরাইলি স্নাইপাররা আল-শিফা হাসপাতালের কাছে কাউকে দেখতে পেলেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে। ফলে হাসপাতালটির ভেতরে আশ্রয় নেয়া হাজার হাজার মানুষ আটকা পড়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস গাজার হাসপাতালগুলোর ‘ভয়াবহ ও বিপজ্জনক’ পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে বলেছেন, হাসপাতালে ইসরাইলি হামলায় নবজাতকসহ বহু রোগী মারা যাচ্ছে।

এদিকে, ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রস জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় বেসামরিক নাগরিকদের যে পরিস্থিতির মধ্যে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে তা ‘অনিশ্চিত এবং অনিরাপদ’।

এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, হাসপাতালের রোগীদের মধ্যে যাদের জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন, তাদের সরিয়ে নেয়ার জন্য সংঘাতে ‘বিরতি’ প্রয়োজন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আল-শিফা হাসপাতালে পাঁচ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে অপরিণত দুই নবজাতকও রয়েছে। এই হাসপাতালে শতাধিক মরদেহ পড়ে আছে। হামলার কারণে এসব মরদেহ দাফন করার মতো পরিস্থিতি তাদের নেই।

এদিকে, হামাস হাসপাতালের জন্য ইসরাইলের জ্বালানি নিতে চায় না বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। যদিও, সংগঠনটি বলছে, তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ না যে, এ ইস্যুতে তেল আবিবের সঙ্গে আলোচনা করবে। এমনকি যে পরিমাণ জ্বালানি ইসরাইল দিতে চায়, তা দিয়ে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট হাসপাতালের কার্যক্রম চলবে বলেও উল্লেখ করে সংগঠনটি।

আরও পড়ুন