Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫


হাসপাতালের ৪৮ শতাংশ রোগী মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত

Main Image

বিএসএমএমইউর মেডিসিন, সার্জারি ও অ্যালাইড বিভাগে ভর্তিকৃত  রোগীদের নিয়ে ‘সাইক্রাট্রিক মরবিটিস অ্যান্ড এডমিটেড প্যাশেন্ট’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হওয়া রোগীদের ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ মানসিক সমস্যায় ভুগে থাকেন। শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে (বিএসএমএমইউ) মেডিসিন, সার্জারি ও অ্যালাইড বিভাগে ভর্তিকৃত  রোগীদের নিয়ে ‘সাইক্রাট্রিক মরবিটিস অ্যান্ড এডমিটেড প্যাশেন্ট’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল প্রকাশকালে উপরোক্ত তথ্য জানানো হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

গবেষণায় বলা হয়, সবার জন্য মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে বিএসএমএমইউর মেডিসিন, সার্জারি এবং অ্যালাইড ২৪টি বিভাগে ভর্তি রোগীদের ওপর এ গবেষণা পরিচালনা করে মনোরোগ বিদ্যা বিভাগ। ৩৪৭ জন ভর্তি রোগীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক রোগ বিদ্যা বিভাগ কথা বলে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রস্তুত করে।

গবেষণার ফল অনুযায়ী, ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ রোগী মানসিক সমস্যায় ভোগেন। বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি মানসিক সমস্যাগ্রস্ত রোগীদের মধ্যে ৫৪ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ ও ৪৫ দশমিক ২ শতাংশ নারী।

রোগীদের মধ্যে ৩৩ দশমিক ৩ শতাংশ ৫১-৬৫ বছর বয়সী এবং ১৯ শতাংশ মানসিক রোগীর বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে। অথচ, বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি রোগীদের মাঝে মাত্র তিন দশমিক ছয় শতাংশ রোগীকে মনোরোগ বিদ্যা বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে। মেডিসিন অনুষদের ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৫৫ দশমিক ৩ শতাংশ এবং সার্জারি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ রোগীর মানসিক সমস্যা পাওয়া গেছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএসএমএমইউর মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের গবেষণাটি অত্যন্ত সময়োপযোগী। এর মাধ্যমে রোগীসহ চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা সচেতন হবেন। চিকিৎসকরা হাসপাতালে ভর্তি করা রোগীর সেবার মান আরও বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনানুযায়ী দ্রুত অন্য বিভাগের চিকিৎসার জন্য রেফারেল দেবেন। রেফারেল করা রোগীরা যাতে দ্রুত সেবা পায় সেদিকে সংশ্লিষ্টদের নজর দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। 

ভিসি আরও বলেন, ভালো থাকার জন্য দিন শেষে সবাই একটু হাসুন, অপরের হৃদয়ের সহানুভূতি নিজের হৃদয় দিয়ে বুঝে পরিবারের সদস্যসহ সবার সঙ্গে আন্তরিকতার সঙ্গে কথা বলুন। আমাদের মনে রাখতে হবে, শরীর ও মন ভালো রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করুন। মানসিক সুস্থতা ছাড়া শারীরিক সুস্থতা সম্ভব না।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাহিদ মাহাজাবিন মোর্শেদ।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, প্রখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মুহিত কামাল, চর্মরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. হরষিত কুমার পালসহ মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন