Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে নীতিমালার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ

Main Image

প্রসূতির সিজার কার্যক্রম


প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতির সিজার কার্যক্রম বন্ধে বিদ্যমান নীতিমালার আলোকে পদক্ষেপ নেয়ার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে আগামী ৬ মাসের নীতিমালাগুলো প্রচারের ব্যবস্থা করতে বলেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। এর আগে বুধবার (১১ অক্টোবর) প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতির সিজার কার্যক্রম বন্ধে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার (সিজারিয়ান) রোধে একটি নীতিমালা তৈরিতে বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি ক্লিনিকে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান প্রতিরোধে কার্যকর তদারকি করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ওই সময় ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেছিলেন, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের মতে শতকরা ১০ থেকে ১৫ ভাগ এর বেশি সিজার কোনো দেশেরই প্রয়োজনীয় হতে পারে না। বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে এটা প্রায় ৩১ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৮৩ শতাংশ এবং সরকারি হাসপাতালে এটার হার ৩৫ শতাংশ। এনজিও হাসপাতালগুলোতে ৩৯ ভাগ। এই যে একটা এলার্মিং রাইজ, রেটটা যে বৃদ্ধি পাচ্ছে এটাকে থামানোর জন্য এ মামলা।

আদালতে চীন এবং ব্রাজিলের উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে জানিয়ে ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, চীনে সিজারের হার বিশ্বের মধ্যে খুবই খারাপ অবস্থায় ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে নতুন রুলস রেগুলেশন প্রণয়ন এটা কমিয়ে এনেছে।

তিনি বলেন, গ্রামে গঞ্জে যে প্রাইভেট হাসপাতালগুলো আছে সেগুলো কোনো ধরনের সরকারি মনিটরিং ছাড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। সিজারিয়ান সেকশন করে যাচ্ছে। এটা থেকে অনেকের অমানবিক মৃত্যুও ঘটেছে।


এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনযুক্ত করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের পক্ষে তাদের আইন উপদেষ্টা এস এম রেজাউল করিম এ রিট দায়ের করেন।

২০১৯ সালের ২১ জুন বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ বলছে বাংলাদেশে গত দুই বছরে শিশু জন্মের ক্ষেত্রে সিজারিয়ানের হার বেড়েছে ৫১ শতাংশ।

বিষয়টিকে অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার উল্লেখ করে সংস্থাটি বলছে, এতে বাবা-মায়েদের সন্তান জন্মদানে ব্যাপক পরিমাণে খরচের ভার বহন করতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন