Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ কমাতে বিশেষ পদ্ধতি উদ্ভাবন

Main Image

ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা


মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ কমাতে কার্যকর বিশেষ পদ্ধতি উদ্ভাবনের কথা জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড মসকুইটো প্রোগ্রাম। সংশ্লিষ্ট গবেষকদের মতে, মশার ভেতর ওলবাকিয়া নামের একটি ব্যাকটেরিয়া ঢুকিয়ে দিলে যেকোনো মশা রোগ ছড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ইতোমধ্যে, ওলবাকিয়া মশা বিস্তারের মাধ্যমে ডেঙ্গু বা জিকার বিপজ্জনক প্যাথোজেনগুলোর সংক্রমণ কমানোর প্রমাণ পেয়েছেন তারা। 

সূত্র : ডয়চে ভেলে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফিওক্রুজের সঙ্গে যৌথভাবে ব্রাজিলে এ পদ্ধতিতে কাজ করতে চায় অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড মসকুইটো প্রোগ্রাম। এ বিষয়ে গবেষকেরা বলেন, প্রথমে ওলবাকিয়া মশার বংশবৃদ্ধি করানো হয়। তারপর মশাবাহিত রোগপ্রবণ এলাকায় সেগুলো ছেড়ে দেন। ধীরে ধীরে স্থানীয় মশার সাথে মিশে বংশবিস্তারের মাধ্যমে রোগের ঝুঁকি কমায়।

ওয়ার্ল্ড মসকুইটো প্রোগ্রামের সিইও স্কট ও’নিল বলেন, ওলবাকিয়া ব্যাকটেরিয়া মশার ভেতর ঢোকানো গেলে সেটা মশার ভেতর থাকা যে ভাইরাস মানুষকে আক্রমণ করে, সেটির রেপ্লিকেট হওয়া প্রতিহত করে। মানুষ থেকে মানুষে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, জিকা ও পীতজ্বরের ভাইরাস ছড়াতে ‘রেপ্লিকেট’-এর প্রয়োজন হয়। কিন্তু ওলবাকিয়া ব্যাকটেরিয়ার কারণে সেটা সম্ভব হয় না।

এ পদ্ধতির অনেক সুবিধাও রয়েছে। প্রধান সুবিধাটি হলো ব্যাকটেরিয়াটি মাত্র একবারই প্রয়োগ করতে হয়। অন্যদিকে মশা মারতে কীটনাশক ব্যবহার করলে প্রতিবছরই সেটি করার প্রয়োজন পড়ে। এ প্রসঙ্গে স্কট ও’নিল আরও বলেন, ‘আমাদের পদ্ধতিটি একবার ব্যবহার করলেই ব্যাকটেরিয়াটি মশার ভেতর স্থায়ীভাবে থেকে যায়।’

কিছু জায়গায় এ পদ্ধতি মানুষ কিংবা পরিবেশের ওপর আপাতদৃষ্টিতে কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলা ছাড়াই ভাইরাসজনিত রোগের সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়েছে। তবে ব্রাজিলের ক্ষেত্রে এখনো কিছু প্রশ্ন আছে। ফিওক্রুজ সংস্থার কর্মকর্তা রাফায়েল ফ্রাইতাস বলেন, এ পদ্ধতিতে ইন্দোনেশিয়ায় ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে; কিন্তু ব্রাজিলে কেন কম কার্যকর তা বোঝা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন