কক্সবাজার, বরগুনা, নোয়াখালীসহ দেশের উপকূলীয় এলাকাগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা সিডরের চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক আজিজুর রহমান। বৃহস্পতিবার (১১ মে) সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা আজ রাতের মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে। বর্তমান গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী এটি সিডরের চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোখা।
নদী ও সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক জানান, বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় মোখা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ১১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। ১৩ মে থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকায় দমকা বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হবে।
মোখা দু’ভাগে ভাগ হয়ে একটি অংশ কক্সবাজার দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। সবচেয়ে শক্তিশালী অংশ মিয়ানমারের ওপর দিয়ে অতিক্রম করবে। কক্সবাজার, বরগুনা, নোয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলেও জানান আজিজুর রহমান।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর দেশের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় সিডর প্রায় ৬ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। যদিও রেডক্রিসেন্টের হিসাবমতে, প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।
উত্তর ভারত মহাসাগরে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে সৃষ্ট সিডরে বাতাসের গতিবেগ ছিল ২৬০ থেকে ৩০৫ কিলোমিটার। সমুদ্র থেকে উঠে আসা ১৫ থেকে ২০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের তোড়ে সব কিছু ভেসে যায়। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের ৩২টি জেলার ২০ লাখেও বেশি মানুষ।
আরও পড়ুন