Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


মস্তিষ্কখেকো বিরল অ্যামিবায় একজনের মৃত্যু

Main Image

ওই ব্যক্তি সম্ভবত কলের পানি দিয়ে নাকের সাইনাস ধুয়ে ফেলার পর সংক্রমিত হয়েছিলেন


যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যে মস্তিষ্কখেকো বিরল অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে তারা মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানাতে পারেননি। খবর বিবিসির।

সাউথওয়েস্ট ফ্লোরিডার শার্লট কাউন্টির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই ব্যক্তি সম্ভবত কলের পানি দিয়ে নাকের সাইনাস ধুয়ে ফেলার পর সংক্রমিত হয়েছিলেন। মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা নাক দিয়ে ঢুকে মস্তিষ্কে সংক্রমিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা (সিডিসি) বলছে, সংক্রমণ প্রায় সব সময়ই মারাত্মক হয়ে থাকে।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ফ্লোরিডার স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছিল, এক রোগী বিরল এই অ্যামিবার সংক্রমণ নিয়ে এসেছেন। সম্ভবত তার কলের পানি দিয়ে সাইনাস ধুয়ে ফেলার অভ্যাস আছে। এ থেকেই তিনি সংক্রমিত হয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখপাত্র জে উইলিয়ামস জানান, ওই রোগী মারা গেছেন। তিনি বলেন, এই সংক্রমণ কীভাবে ঘটেছে, তা তদন্তে সরকারি একাধিক সংস্থার কর্মকর্তা কাজ করছে।

এ ধরনের অ্যামিবা সাধারণত সুইমিংপুল, হ্রদ ও পুকুরের পানিতে বাস করে। এটি মানুষের নাক দিয়ে ঢুকে গুরুতর সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তবে এটি সাধারণত মুখ দিয়ে ঢুকলে নিরাপদ। কারণ পাকস্থলির অ্যাসিড এককোষী অণুজীবকে মেরে ফেলে।

যারা সংক্রমিত হয়, তারা প্রাইমারি অ্যামেবিক মেনিনগোয়েনকেফালাইটিস নামে একটি রোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগের লক্ষণের মধ্যে রয়েছে— মাথাব্যথা, জ্বর, বমি বমি ভাব, বমি, বিভ্রান্তি, শক্ত ঘাড়, ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা, খিঁচুনি অথবা হ্যালুসিনেশন।

সিডিসি বলছে, প্রতিবছর প্রায় তিনজন আমেরিকান এই রোগে সংক্রমিত হয়। প্রায়ই তাদের মারাত্মক পরিণতি হয়। ১৯৬২ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এই রোগে সংক্রমিত ১৫৪ জনের মধ্যে মাত্র চারজন বেঁচে ছিলেন। সাধারণত শীতকালে এ সংক্রমণ ঘটে না।

আরও পড়ুন