Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


নারী চিকিৎসককে প্রাইভেট কারে তুলে নির্যাতনে গ্রেপ্তার ২

Main Image

ডা. সুমাইয়া নাজিম, রাজধানীর শিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক


রাজধানীর লালবাগ এলাকায় রাতে প্রকাশ্য রাস্তায় এক নারী চিকিৎসককে প্রাইভেট কারে তুলে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নাজমুল ও হাসান নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সূত্র : সময়টিভি অনলাইন ও কাল বেলা। 

ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম সুমাইয়া নাজিম। তিনি রাজধানীর শিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, পূর্বপরিচিত ব্যক্তিরা তার ওপর হামলা চালিয়ে মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেছেন।

ডা. সুমাইয়া জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি হাসপাতালে দায়িত্ব পালন শেষে রিকশায় তার ছোটভাইকে নিয়ে লালবাগের বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় একটি প্রাইভেট কার এসে তার রিকশার গতি রোধ করে। নাজমুল ও আকাশ নামের দুজন গাড়ি থেকে নেমে তাকে রিকশা থেকে টেনে নামান। তখন গাড়ির ভেতরে ছিলেন হাসান ও মশিউর। তারা সবাই তার পূর্বপরিচিত।

ডা. সুমাইয়া আরও বলেন, আমি রাস্তায় কথা বলতে না চাইলে তারা আমাকে জোরপূর্বক টেনে গাড়ির ভেতরে নিয়ে মাঝখানে (পেছনের আসন) বসায়। এ সময় আমার ছোট ভাইকে রিকশা থেকে লাথি মেরে ফেলে দেন তারা। মশিউর গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পরে তারা আমাকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। এতে আমার শরীর কেটে-ছিঁড়ে গেছে। একপর্যায়ে আমি জোর করে গাড়ির দরজা খুলি এবং পড়ে যাই। এ সময় পাশের রিকশার গ্যারেজ থেকে লোকজন ছুটে এসে আমাকে টেনে তোলে।

ভুক্তভোগী ডা. সুমাইয়া ভিডিওতে বলেন, আমি আমার কাজিনের ব্যবসা দেখাশোনা করতাম। হাসান ওই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ছিল। একজন ড্রাইভারের একের পর এক চুরির ঘটনা আমি ধরিয়ে দিই। এসব ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একের পর এক চুরির মামলাও হয়েছিল। আমি ওই মামলার সাক্ষী ছিলাম। এজন্য তারা আমার ওপর এই হামলা চালায়।

এ বিষয়ে লালবাগ থানার ওসি এম এ মোরশেদ বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় নাজমুল, হাসান, আকাশ ও মশিউরকে আসামি করা হয়েছে। এরপর অভিযান চালিয়ে নাজমুল ও হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।

আরও পড়ুন