Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে চলছে উদ্ধার, মৃত বেড়ে ৭৮২৬

Main Image

ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়ারা সাহায্যের জন্য ডাকাডাকি করছেন। কিন্তু সাড়া দেওয়ার মতো প্রায় কেউ নেই


তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত বেড়ে ৭ হাজার ৮২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা এখনো চলছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরও বহু মানুষ চাপা পড়ে আছে বলে উদ্ধারকারীদের ধারণা। খবর বিবিসির।

তুরস্কে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ হাজার ৮৯৪ জন মারা যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সিরিয়ায় ১ হাজার ৯৩২ জন মারা গেছে বলে জানানো হয়েছে। এ সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়ে আছেন হাজার হাজার মানুষ। তবে বৈরী আবহাওয়া ও ভূমিকম্পে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধারকর্মীরা সব জায়গায় যেতে পারছেন না।

সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স বলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে শত শত পরিবার আটকে আছে। আমাদের টিমগুলো কঠিন পরিস্থিতিতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। শতশত ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।

উত্তর সিরিয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকজন সাহায্যের জন্য ডাকাডাকি করছেন। কিন্তু তাদের ডাকে সাড়া দেওয়ার মতো প্রায় কেউ নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ভূমিকম্পে দেশ দুটিতে মৃত ২০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

তুরস্কের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার এলাকায় এখন ভূমিকম্পের ধ্বংসলীলা। এসব এলাকায় ৫ হাজার ৭৭৫টি ভবন ধসে পড়েছে। আর ভূমিকম্পে সিরিয়ায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা দেশটিতে ১১ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির চেয়ে বেশি বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মানচিত্র থেকে দেখা যাচ্ছে, এসব এলাকায় ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পের কারণে সেখানকার সবাই কোনো না কোনোভাবে সংকটে পড়েছেন। দুই দেশের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে লাখো মানুষ এখন খোলা আকাশের নিচে আছেন।

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশটিতে ভূমিকম্পে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১ কোটি ৩৫ লাখ মানুষ। আহত হয়েছেন ২০ হাজারের বেশি মানুষ।

তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০টি প্রদেশ। সেখানকার পরিস্থিতি সামাল দিতে ও উদ্ধারকাজে গতি আনতে তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য দেশটির আনতালিয়া অঞ্চলের হোটেলগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। পরে আরও কয়েক দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

আরও পড়ুন