Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫


‘অপহৃত’ চিকিৎসক কাওসার ডিবি হেফাজতে

Main Image

অধ্যক্ষ নৌশাদ খান জানান, ডিবি প্রধান হারুন-অর রশিদ তাকে ফোন করে জানিয়েছেন, মির্জা কাওসার তাদের হেফাজতে


কিশোরগঞ্জে কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক মির্জা কাওসার (২৮) ডিবি হেফাজতে আছেন। তাকে ঢাকায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।

কলেজের অধ্যক্ষ আ ন ম নৌশাদ খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ডা. কাওসারকে নিয়ে গেছে।

কাওসার প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক। এ ছাড়া শহরে তিনি মেডিক্স কোচিং সেন্টার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

অধ্যক্ষ নৌশাদ খান জানান, ডিবি প্রধান হারুন-অর রশিদের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে। হারুন রোববার রাত ১০টার দিকে তাঁকে ফোন করে জানিয়েছেন যে, চিকিৎসক মির্জা কাওসার এখন ডিবির হেফাজতে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মির্জা কাওসারের বাবার সঙ্গেও ডিবির পক্ষ থেকে ফোনে যোগাযোগ করা বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মির্জা কাওসারের বাবা মির্জা আবদুল হাকিমের বাড়ি কিশোরগঞ্জ শহরের খরমপট্টি এলাকায়। তিনি সাংবাদিকদের আগেই বলেছেন, তাঁর একমাত্র ছেলে কাওসার কোনো রাজনৈতিক দল বা কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নন। ছেলে খুবই শান্ত স্বভাবের।

এর আগে অধ্যক্ষ অধ্যাপক নৌশাদ খানও বলেছিলেন, ডা. মির্জা কাউসার খুবই নিরীহ প্রকৃতির মেধাবী। মেডিক্স কোচিং সেন্টারটি অল্পদিনে অনেক এগিয়েছে। কোচিং সেন্টারকেন্দ্রিক ঘটনায় তাকে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা তার।

গত ১২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের খরমপট্টি এলাকায় কাওসারের মেডিক্স কোচিং সেন্টার থেকে তাঁকে একটি কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি কিশোরগঞ্জ বালক উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। ঢাকার রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের জাফরাবাদ এলাকায় অবস্থিত প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে সেখানেই প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন।

আরও পড়ুন