Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫


দাবদাহে পুড়ছে ভারত, পাকিস্তানে ক্রিকেটারের মৃত্যু

Main Image

পাকিস্তানে হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে উমর খান নামে এক স্থানীয় ক্রিকেটারের


ভারতের রাজধানী দিল্লি ও উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন এলাকা তীব্র তাপদাহে পুড়ছে। এরইমধ্যে কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও বেশি রেকর্ড হয়েছে। একই সময় দেশটির আবহাওয়া দপ্তর দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালাজুড়ে ভারি বৃষ্টিপাতের সতর্কতা ঘোষণা করে রাজ্যের পাঁচটি জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।

এনডিটিভি বলছে, রবিবার (১৫ মে) দিল্লির সফদারজং মানমন্দিরে তাপমাত্রা ৪৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। আর উত্তর-পশ্চিম দিল্লির মুঙ্গেশপুরে ৪৯ দশমিক ২ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির নাজাফগড়ে হয় ৪৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ভারতে চলতি বছর এ পর্যন্ত সফদরজংয়ের তামপাত্রাই সর্বোচ্চ ছিল। এদিন উত্তর প্রদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয় বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলের বান্দা জেলায়।

ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) তথ্য অনুযায়ী, বান্দা জেলায় ১৯৯৪ সালের ৩১ মে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল।

ভারতের উত্তরাঞ্চল যখন তাপদাহে ঝলসে যাচ্ছে তখন দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় উপদ্বীপে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। রবিবার কেরালায় ৫২ দশমিক ২ মিলিমিটার ও লাক্ষা দ্বীপে ৫৭ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

আইএমডি কেরালাজুড়ে ভারি বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জানিয়ে রাজ্যটির এর্নাকুলাম, ইদুক্কি, ত্রিসুর, মালাপপুরাম ও কোঝিকোডে জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।

তীব্র দাবদাহে ভারতের পাশাপাশি নাকাল পাকিস্তানের বহু মানুষ। দেশটির সিন্ধু প্রদেশের জ্যাকোবাবাদে তাপমাত্রা ঠেকেছে ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। করাচিতে সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এমন এক দিনে দুই ম্যাচ খেলা এক ক্রিকেটার হিট স্ট্রোকে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে খবর এসেছে।

নিউজ নাও পাকিস্তান জানিয়েছে, উত্তর নাজিমাবাদের আন্নু ভাই পার্কে এক ম্যাচ শেষে হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে উমর খান নামের এক স্থানীয় ক্রিকেটারের।

নিহতের ভাতিজা তালহা বলেছেন, শনিবার লান্ধিতে একটি ম্যাচ খেলার পর রাতে আবার আন্নু ভাই পার্কে খেলতে গিয়েছিলেন উমর খান। তাকে যেন শেষ ওভার করতে দেওয়া হয়, সে অনুরোধ জানিয়েছিলেন অধিনায়ককে। উনি বাঁহাতি স্পিন করতেন, চাইলে পেসও করতে পারতেন। দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন শেষ ওভারে। কিন্তু জয়ের একটু পরই মাঠে পড়ে যান। তাকে আব্বাসী শহীদ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা বলেছেন আগেই মৃত্যু হয়েছে।

জানা গেছে, ৩৮ বছর বয়সী উমর খানের স্ত্রী ও দুই সন্তান আছে। বিভিন্ন টুর্নামেন্টে উমর নিয়মিত ক্রিকেট খেলতেন জানিয়ে তালহা বলেন, ‘আমাদের জন্য অনেক বড় ধাক্কা।’

অন্যদিকে সামা টিভির দাবি, গত শনিবার হিট স্ট্রোকে মৃত কাউকে হাসপাতালে আনা হয়নি বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। উমর খানের হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল।

করাচিতে দুদিন আগে মাঠে আরেক খেলোয়াড় মৃত্যুবরণ করেছিলেন। লিয়ারিতে এক ফুটবলার হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন বলে খবর এসেছে।

আরও পড়ুন