Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


ভয়ঙ্কর প্রাদুর্ভাব ছড়ানোর অপেক্ষায় জিকা

Main Image

জিকা ভাইরাসের পরিণতি ভয়ঙ্কর শিশুদের জন্য



জিকা ভাইরাসের নতুন করে প্রাদুর্ভাবের সম্ভাবনা দেখছেন বিজ্ঞানীরা। সতর্ক করে তারা বলেছেন, জিকা ভাইরাসের মাত্র একটি রূপান্তরই (মিউটেশন) ভয়ঙ্কর প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার জন্য যথষ্ট। খবর বিবিসির।


২০১৬ সালে মশাবাহিত জিকা ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রোগটি নিয়ে মেডিকেল জরুরি অবস্থা জারি করে। সে সময় হাজারো শিশু ক্ষতিগ্রস্ত মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিল। কারণ তাদের মায়েরা গর্ভাবস্থায় জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, সব দেশের জিকার নতুন মিউটেশন খুঁজে দেখা উচিৎ। বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সেল রিপোর্টের বরাত দিয়ে দ্য ল্যাবরেটরি ওয়ার্ক বলছে, জিকা ভাইরাস সহজেই পরিবর্তনীয় ও নতুন ধরন তৈরি করতে সক্ষম।


গবেষকরা বলছেন, জিকার ধরনগুলো সংক্রমণের ক্ষেত্রে কার্যকর। এমনকি ২০১৬ সালে যেসব দেশে জিকা মহামারী হয়ে মানুষ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছিল, তাদের জন্যও ঝুঁকি রয়েই গেছে।

সাধারণত এডিস মশার কামড় থেকে জিকা ভাইরাস ছড়ায়। এ মশা যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়াজুড়ে রয়েছে। যদিও মাত্রাতিরিক্ত ঠাণ্ডার দেশগুলোতে এ মশা বাঁচতে পারে না।
জিকা সাধারণ মানুষের জন্য তেমন ক্ষতিকর না হলেও গর্ভবতীদের জন্য খুবই মারাত্মক। এর ফলে গর্ভের সন্তান বিকলাঙ্গ বিশেষ করে মস্তিষ্ক বিকৃতি নিয়ে জন্ম নেয়।

জিকা আক্রান্তের সাথে শারীরিক সম্পর্ক হলে তারও হতে পারে। যদিও জিকায় মারা যাওয়ার হার কম। প্রতি পাঁচজনের একজনের মধ্যে এ রোগের লক্ষণ দেখা যায়। যেমন জ্বর, র‌্যাশ, জয়েন্টে ব্যথা। সাধারণত জিকা কোনো চিকিৎসা নেই। এজন্য একমাত্র উপায় হলো মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করা।

আরও পড়ুন