Ad
Advertisement
Doctor TV

মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫


বিনামূল্যে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে শিশুদের

Main Image

ছয় দিনে বিনামূল্যে প্রায় ৪ কোটি শিশুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে


রবিবার (২০ মার্চ) থেকে শুরু হয়েছে ২৬তম ‘জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ’। সারা দেশে একযোগে এ কর্মসূচি চলবে ২৫ মার্চ পর্যন্ত। এ ছয় দিনে বিনামূল্যে প্রায় ৪ কোটি শিশুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশের প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির মাধ্যমে ৫-১১ বছর বয়সী সব শিশুকে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ১২-১৬ বছর বয়সী সব শিশুকে এক ডোজ কৃমিনাশক ওষুধ (মেবোজল বা ভারমক্স ৫০০ মিলিগ্রাম) ভরা পেটে খাওয়ানো হচ্ছে। এ ছাড়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের ৫-১৬ বছর বয়সী স্কুলবহির্ভূত, স্কুল থেকে ঝরে পড়া, পথশিশু, কর্মজীবী শিশুকে এক ডোজ কৃমিনাশক ওষুধ বিনামূল্যে খাওয়ানো হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কৃমি নির্মূলের লক্ষ্যে ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের এক ডোজ কৃমিনাশক ওষুধ বিনামূল্যে খাওয়ানো হবে। একই সঙ্গে কৃমির পুনঃসংক্রমণ রোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করা হবে।

পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য শিক্ষা দেওয়ার ফলে তা অভ্যাসে পরিণত হবে। শিশুর ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিচর্যার ব্যাপারে সচেতন হবে; যা থেকে ভবিষ্যতে শিশুরা কৃমিসহ অন্যান্য পরজীবীবাহিত রোগব্যাধি থেকেও পরিত্রাণ পাবে বলে মনে করেন তিনি।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কৃমির সংক্রমণ বয়সী মানুষের চেয়ে শিশুদের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি। শূন্য থেকে ৪ বছর বয়সীদের মধ্যে কৃমির সংক্রমণের হার ৭ শতাংশ। ৫-১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৩২ শতাংশ, ১৫-২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ১৫ শতাংশ, ২৫-৪৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৭ শতাংশ, ৪৫-৫৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৫ শতাংশ এবং পঞ্চান্ন-ঊর্ধ্বদের মধ্যে এ হার ৪ শতাংশ।

আরও পড়ুন