Ad
Advertisement
Doctor TV

মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫


আক্রান্তের ৫০ শতাংশই জানে না, গ্লকোমায় আক্রান্ত

Main Image

আক্রান্তের ৫০ শতাংশই জানে না, গ্লকোমায় আক্রান্ত


বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় অন্ধত্বজনিত রোগ গ্লকোমা। এ রোগে দেশে ২ শতাংশ আক্রান্ত হয়ে থাকে। তার মধ্যে ৫০ শতাংশই জানে না, তারা গ্লকোমায় আক্রান্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি বংশগত রোগ। আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বিয়ে হলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রায় চার গুণ বেড়ে যায়।

শনিবার (১২ মার্চ) বিশ্ব গ্লকোমা সপ্তাহ উপলক্ষে রাজধানীর ফোর সিজন রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, কেউ গ্লকোমা রোগে আক্রান্ত হলে- তার দৃষ্টির সীমা কমতে থাকে এবং চোখের চাপ বাড়তে থাকে। কিন্তু বিপজ্জনক দিক হলো ভুক্তভোগীরা তা বুঝতে পারেন না৷

রোগটির সাথে যুক্ত চিকিৎসকরা বলেন, দেশে গ্লকোমার পরিপূর্ণ চিকিৎসা রয়েছে। রোগী অনুযায়ী দেশে মোট ৯০ জন গ্লকোমার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। এছাড়া দেশের সকল চক্ষু চিকিৎসকরাই গ্লকোমার চিকিৎসার সাথে জরিত।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গ্লকোমা সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. হাসান শহীদ। সভাপতির বক্তব্যে গ্লুকোমা রোগের গনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গনমাধ্যমকে অগ্রনী ভূমিকা রাখার আহবান জানান এবং গ্লকোমা রোগ প্রতিরোধে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা কামনা করেন।

গ্লকোমাকে তুষের আগুন উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্লকোমা এমন এক অন্ধত্ব যার কোন প্রতিকার নেই। এটি নিরব ঘাতকের মতো কাজ করে। এজন্য একে ছাই চাপা, তুশের আগুনের সাথে তুলনা করে হয়। গ্লকোমায় একবার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা পুনরায় সুস্থ হয় না। অর্থাৎ রোগী স্থায়ীভাবে ক্ষতি হয়ে যায়। তাই গ্লকোমাকে প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করতে হবে। এবং প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা পান তাহলে সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শামস মোহাম্মদ নোমান বলেন, গ্রাম থেকে যারা আসে তাদের দেরিতে ধরা পরে। শহরে দ্রুত শনাক্ত হয়। শনাক্তের পরিমানটা আসলে অঞ্চলের ওপর নির্ভর করে না।

অনুষ্ঠানে একাধিক রোগী গ্লকোমা চিকিৎসায় তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এসময় চিকিৎসকরা তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব ও পরামর্শ প্রদান করেন।

আরও পড়ুন