Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


যশোর মেডিকেলে ৫০০ শয্যা হাসপাতালের দাবি

Main Image

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।


যশোর মেডিকেল কলেজে (যমেক) ৫০০ শয্যা হাসপাতালের দাবিতে সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালান করেছেন স্থানীয়রা।

দাবি বাস্তবায়নে একই সঙ্গে যশোর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।

তারা বলেন, ২০১১ সালে যশোর মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হলেও দীর্ঘ ১০ বছরেও মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু করা হয়নি। যদিও যশোরের পরে স্থাপিত পাশের জেলা সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়ায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

বক্তারা বলেন, এ অবস্থায় মেডিকেল শিক্ষার্থীদের যথাযথ শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বৃহত্তর যশোর অঞ্চলের সাধারণ মানুষ অধিকতর চিকিৎসাসেবা লাভে বঞ্চিত হচ্ছেন।

কালেক্টরেট চত্বরে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে সূচনা বক্তব্য দেন যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান ভিটু।

একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক ইকবল কাবির জাহিদ, জনউদ্যোগ যশোরের আহবায়ক নাজির আহমেদ, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারাজি আহমেদ সাঈদ বুলবুল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সুকুমার দাস, সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারু, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মজনু, শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু, আইডিইবি যশোরের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, জয়তী সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক অর্চনা বিশ্বাস ইভা, আইইডি যশোরের ব্যবস্থাপক  বিথিকা সরকার, এসএসসি- ৯১ এর সমন্বয়ক রাশেদ চৌধুরী প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন নেতারা। স্বারকলিপিতে বলা হয়, ২০১১ সালে যশোর মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে কলেজটির সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো।

এতে বলা হয়, পরবর্তীতে শহরের শংকরপুর এলাকায় নিজস্ব ক্যাম্পাসে কলেজ স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে কলেজে চার শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছেন। তবে দীর্ঘ ১০ বছরেও এখানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু করা হয়নি।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, হাসপাতাল না থাকলে সেই মেডিকেল কলেজ পূর্ণাঙ্গ হয় না। কারণ, শিক্ষার্থীদের তত্বীয় বিষয়ের পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষাও অনিবার্য। আর এই শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের কলেজ থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে যেতে হয়। কিন্তু এই হাসপাতালে পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় শিক্ষার্থীরা অনেক ক্ষেত্রেই বিড়ম্বনায় পড়েন।

আরও পড়ুন