Ad
Advertisement
Doctor TV

মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫


স্মৃতিশক্তি নষ্ট করে দিচ্ছে অ্যালঝেইমার রোগ

Main Image

অ্যালঝেইমারে আক্রান্ত রোগী


অ্যালঝেইমার একটি মস্তিষ্কের বিশেষ ধরনের রোগ। সাধারণত বয়স্করা এ রোগের শিকার হন। চিকিৎসকরা বলছেন, আক্রান্তরা প্রথমে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারাতে থাকেন। রোগটির তিব্রতা ক্রমাগত বেড়ে স্মৃতিশক্তি নষ্ট করে দেয় ভুক্তভোগীদের।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. এ টি এম হাছিবুল হাসান ডক্টর টিভিকে বলেন, “এসব রোগীরা হঠাৎ কোনো একটা জায়গার নাম ভুলে যাচ্ছে, কোনো কোনো সময় পরিচিত মানুষের নাম ভুলে যাচ্ছে। সাধারণভাবে তাদের সাথে কথা বলার সময় বুঝা যায় না যে তারা রোগটিতে আক্রান্ত।”

ডা. এ টি এম হাছিবুল হাসান বলেন, “রোগটির চুড়ান্ত রূপ হচ্ছে, সকালের খাবার খাওয়ার পরও ভুলে যাচ্ছে তিনি খাবার খেয়েছেন। মাঝে মধ্যে এসব রোগীদের কারণে বিব্রতকর অবস্থায়ও পরতে হয়।”

এ বিষয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. পরিতোষ কুমার সরকার ডক্টর টিভিকে বলেন, “এসব রোগীরা মানসিক ভাবেও দুর্বল হয়ে যায়। ফলে বিভিন্ন মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। দেখা দেয় বিষন্নতা, সাইকোসিস। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক আচরণও করে থাকে।”

রোগটির সঠিক কারণ জানা না গেলেও, ষাটোর্ধ্বরা অ্যালঝেইমারে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জীবনযাত্রা, স্বাস্থ্যগত ও বংশগত কারণের হতে পারে বলে মত চিকিৎসকদের।

ডা. এ টি এম হাছিবুল হাসান বলেন, “এছাড়া অন্যান্য কারণেও হতে পারে অ্যালঝেইমার রোগ। যেমন যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ বা দীর্ঘমেয়াদী রোগ আছে।”

স্নায়ুরোগটির স্থায়ী চিকিৎসা এখনও আবিষ্কার করতে পারেনি চিকিৎসাবিজ্ঞান। তবে প্রাথমিক অবস্থায় এটি শনাক্ত করলে রোগীদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরানো সম্ভব বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

ডা. পরিতোষ কুমার সরকার বলেন, “অ্যালঝেইমার রোগের চিকিৎসায় ওষুধের কোনো বড় ধরণের ভুমিকা নেই। তবে ওষুদের মাধ্যমে সামান্য পরিবর্তন করা যায়। স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসা যায় না। আমার মতে সারা দেশে ডিমেনশিয়া গিভিং সার্ভিস চালু করা প্রয়োজন। এটি করলে রোগী যতদিন বাঁচবে চিকিৎসা ততদিন পাবে। ফলে রোগী তাঁর স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরে যেতে পারবে।”

তিনি বলেন, “অ্যালঝেইমার প্রতিরোধ করতে হলে পরিবারের সকলের এই রোগ সম্পর্কে জানতে হবে।”

অ্যালঝেইমার নিয়ে দেশে সঠিক পরিসংখ্যান নেই। যদিও ২০১৯ সালের গবেষণা বলছে, দেশে প্রতি ১০ হাজারে ৮০৮ জন রোগী ডিমেনশিয়া আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এসব রোগীদের সঠিক চিকিৎসায়, প্রয়োজন টারশিয়ারি লেভেলের হাসপাতালে ডিমেনশিয়া কর্ণার চালু করা।

আরও পড়ুন