Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


কেন স্নাইপারের টার্গেটে ভাইরাস বিশেষজ্ঞ

Main Image

ছেলের সাথে প্রখ্যাত ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক মার্ক ভ্যান র‌্যান্সট


বেলজিয়ামের প্রখ্যাত ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক মার্ক ভ্যান র‌্যান্সট প্রায় তিন সপ্তাহ হলো স্ত্রী ও ১২ বছরের ছেলে নিয়ে একটি সেইফহাউসে বসবাস করছেন। সেখানে তাদের নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বিবিসি বলছে, উগ্র ডানপন্থি সাবেক এক সেনা কর্মকর্তার হুমকিতে সপরিবারে এভাবে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন অধ্যাপক ভ্যান র‌্যান্সট। ব্যক্তিগত আক্রোস থেকে জারগেন কনিংস নামের বিপথগামী ওই সেনা সদস্য রকেট লাঞ্চার, মেশিনগানসহ ভারী অস্ত্র নিয়ে হামলার জন্য এ অধ্যাপকের বাড়িতেও হাজির হয়েছিল। তবে বেলজিয়ামের পুলিশ তাকে এখন কোথাও খুঁজে পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে।

সেইফহাউস থেকে অধ্যাপক ভ্যান র‌্যান্সট বলেন, ‘হুমকি খুবই বাস্তবসম্মত। কারণ ১৮ মে রাতে পরিবারসহ লুকাতে আমি বাধ্য হই। সাবেক ওই সেনা সদস্য ভারী অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়ির ডান দিকের রাস্তায় তিন ঘণ্টা অবস্থান করে। কাজ শেষে আমি কখন বাড়িতে ফিরব, তার জন্য সে অপেক্ষা করছিল।’

ওই রাতের ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ বলছে, জারগেন কনিংস ভারী কয়েকটি অস্ত্র নিয়ে সেনা ব্যারাক থেকে পালিয়ে যায় এবং সোজা ভাইরোলজিস্ট ভ্যান র‌্যান্সটের বাড়ির দিকে যায়।

কর্মস্থল থেকে সাধারণত যে সময়ে এ বিজ্ঞানী বাড়ি ফেরেন, সে পর্যন্ত জারগেন অপেক্ষা করে। কিন্তু ওইদিন তিনি বেশ আগেই বাড়ি ফেরেন এবং জারগেনকে এমন মারমুখী অবস্থায় দেখতে পেয়ে লুকাতে বাধ্য হন।

ভ্যান র‌্যান্সট বলেন, ‘জারগেন একজন প্রশিক্ষিত স্নাইপার। এমন ব্যক্তির হাতে সামরিক অস্ত্র যাওয়া দুঃখজনক।’ জীবনের হুমকি থাকার পরও করোনা মহামারিতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা অধ্যাপক বলেন, ‘আমরা ভীত নই, তবে সতর্ক রয়েছি। আমার ১২ বছর বয়সী ছেলে মিলোও বেশ সাহসী। তবে প্রায় তিন সপ্তাহ তার এভাবে থাকাটা কষ্ট দিচ্ছে।’

বেলজিয়ামের কর্তৃপক্ষ বলছে, জারগেন কনিংস খুবই ভয়ঙ্কর ব্যক্তি এবং সংঘাত পছন্দ করে। উগ্র ডানপন্থি রাজনৈতিক বিশ্বাসের জন্য ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে সন্ত্রাসী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

সেনা ব্যারাক থেকে পালানোর সময় জারগেন যে চিরকুট লিখে যান, তাতে এটা নিশ্চিত ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ভ্যান র‌্যান্সটই তার হামলার লক্ষ্য। চিরকুটে সে লিখেছে, ‘কথিত রাজনৈতিক অভিজাত এবং এখন ভাইরোলস্টিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সে অথবা আমি— দুজনের একজন বেঁচে থাকবে। তারা ঘৃণা ও হতাশা সৃষ্টি করে। আমি মিথ্যাবাদীর সাথে বেঁচে থাকতে চাই না।’

আরও পড়ুন