Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


করোনায় গর্ভবতী মায়েরা কখন এবং কতটি চেকআপ করাবেন?

Main Image

ডা. তাহমিনা পারভীন


করোনার এই সময়টি সন্তানসম্ভবা মায়েদের জন্য ভয়, উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তার। মহামারীর কারণে তাদের হাসপাতাল-ক্লিনিকে যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ। এ পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক সময়ের মতো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এসব জায়গায় তাদের বেশি যাওয়া উচিত হবে না।

ডক্টর টিভির সঙ্গে আলাপকালে করোনাকালে গর্ভবতী মায়েরা কোন সময়টিতে এবং কতটি চেকআপ করাবেন, সে পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের স্ত্রী রোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. তাহমিনা পারভীন

গর্ভবতী নারীদের ভয় না পাওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, করোনার সময়ে বাংলাদেশে ২৪ লাখ এবং বিশ্বে ১১ কোটি ৬০ লাখ শিশুর জন্ম হয়েছে। কাজেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

অধ্যাপক তাহমিনা বলেন, স্বাভাবিক সময়ে গর্ভবতী নারীদের ১৩টা চেকআপ করাতে হয়। তবে এখন করোনার কারণে এটা মায়ের জন্য ঝুঁকি হতে পারে, বাচ্চার জন্য ঝুঁকি হতে পারে কিংবা পরিবারের লোকদের ঝুঁকি হতে পার।

এই পরিস্থিতিতে গর্ভবতী মায়েদের বেশি চেকআপে না গিয়ে অন্তত তিনটি চেকআপ করানোর পরামর্শ দেন তিনি।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রথম চেকআপ হবে ১৬ সপ্তাহ পরে। এখানে রোগীর রক্তের কিছু পরীক্ষা করানো হবে। দ্বিতীয় চেকআপ হবে ২০ সপ্তাহ পরে। এখানে একটা স্ক্যান করা জরুরি (এটার মাধ্যমে বাচ্চার কোনো জন্মগত সমস্যা আছে কিনা নিশ্চিত করা হয়)।

তিনি বলেন, তৃতীয় চেকআপের জন্য ৩৬ সপ্তাহের দিকে আসতে হবে। এ সময় ডেলিভারির সার্বিক বিষয়টি দেখা হয়। কোন সময়, কীভাবে ডেলিভারি করলে ভালো হয়, সেটা গর্ভবতী মাকে অবহিত করা হবে।

তবে গর্ভবতী মায়ের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তস্বল্পতা, রক্তপাত, বার বার বমি, জন্ডিস, পেঠ ব্যাথা বা খিঁচুনি দেখা দিলে, তাদের ক্ষেত্রে এই পরামর্শ প্রযোজ্য হবে না।

অধ্যাপক তাহমিনা বলেন, এক্ষেত্রে তিনটি চেকআপের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। অনাগত সন্তানের ভালোর জন্য মাকে করোনাকে ভয় পেলে চলবে না। তাকে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং চেকআপ করাতে হবে।

আরও পড়ুন