Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫


অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিরাপদ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি

Main Image

প্রতীকী ছবি।


যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বেশ প্রশংসনীয় এবং মানব দেহে এটি নিরাপদ হওয়ার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল।

সোমবার (২৬ অক্টোবর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলছে- তাদের ভ্যাকসিনটি প্রবীণদের পাশাপাশি তরুণদের শরীরেও প্রয়োজনীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারছে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও অনেক কম দেখা গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবীণদের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর প্রয়োজনীয় রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠার খবরটি ইতিবাচক। কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং করোনার সংক্রমণে প্রবীণদের জটিলতা ও মৃত্যু ঝুঁকি বেশি রয়েছে।

লন্ডনের একটি বড় হাসপাতালের কর্মীদের জানানো হয়েছে- আসছে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই তাদের কাছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের প্রথম সরবরাহ পৌঁছে যাবে। এইজন্য ওই হাসপাতালটিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

তাছাড়া, মার্কিন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ এর একটি ভ্যাকসিন পাওয়া যেতে পারে যদি সেটি নিরাপদ এবং ফলপ্রসূ হয়। তিনি জানান, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে স্বল্প সংখ্যক ডোজ মানুষদের দেয়া হবে। কিন্তু, করোনার ভ্যাকসিনটি ব্যাপকভাবে মানুষের কাছে পৌঁছুতে ২০২১ সালের বেশ কয়েক মাস সময় নিতে পারে।

করোনা ভাইরাসের ১০টি ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের একেবারে চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস আধানম গেব্রিয়াসিস।

করোনা ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন উদ্ভাবন নিয়ে কাজ চলছে। ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত হালনাগাদ করা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার খসড়া তালিকা অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে ১৯৮টি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে। এর মধ্যে মানবদেহে পরীক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে ৪৪টি ভ্যাকসিন।

আরও পড়ুন