Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


প্রতিবছর সাড়ে চার লাখ মানুষ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যে প্রাণ হারাচ্ছে

Main Image

প্রতিকী ছবি।


প্রতিবছর ভেজাল ও দূষিত খাবার গ্রহণের ফলে চার লাখ ৪২ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানা গেছে।

চলতি বছর ৩০ এপ্রিলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিশ্বের প্রায় ৬০ কোটি মানুষ অসুস্থ হচ্ছে শুধুমাত্র অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের ফলে। অনিরাপদ খাদ্য ব্যাকটেরিয়া, বিভিন্ন ধরণের ভাইরাস এবং পরজীবী বহন করে থাকে- যারকারণে দুইশ' ধরণের রোগ হতে পারে। এমনকি ডায়রিয়া থেকে ক্যানসারের মতো জটিল রোগও এই অনিরাপদ খাবার গ্রহণের ফলে হয়ে থাকে।

পাঁচ বছরের কম বয়সের শিশুদের মধ্যে ৪০ শতাংশই খাদ্যজণিত রোগের সমস্যায় আক্রান্ত। আর একারণেই প্রতিবছর এক লাখ ২৫ হাজার শিশু মারা যাচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়- অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের জন্যেই মূলত ডায়রিয়া রোগ হয়। প্রতিবছর ৫৫ লাখ মানুষের অসুস্থতার কারণও হচ্ছে এই ডায়রিয়া। এমনকি বছরে এতে মারা যাচ্ছে দুই লাখ ৩৯ হাজার মানুষ।

খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি এবং খাদ্যের সুরক্ষা খুবই জরুরি। খাদ্যের দুষ্টচক্র মানুষের শরীরে অপুষ্টি এবং পীড়িত হতে সহায়তা করে। বিভিন্ন বয়সের শিশুসহ বয়স্ক মানুষ বেশি এই সমস্যায় ভোগেন।

তাইতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে-খাদ্যবাহিত রোগ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাধা দেয়। এটি জাতীয় অর্থনীতি বিকাশে বড় অন্তরায়ও বটে এমনকি পর্যটনশিল্প এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের অগ্রসরেও বাধা।

এখন বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরণের খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। গুণগত মান ঠিক রেখে খাদ্য উংপাদন, ভোক্তাধিকার এবং সরকারের তদারকির মাধ্যমে খাদ্যের নিরাপত্তা রক্ষা করা যায়। পুষ্টিকর এবং পরিচ্ছন্ন খাবার উপাদন এবং গ্রহণ একটি দীর্ঘজীবী জীবনের নিশ্চয়তা দেয়।

এদিকে- পরিবেশ বাঁচাও অন্দোলনের (পবা) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু ভেজাল খাদ্যের কারণে প্রতিবছর বাংলাদেশে তিন লাখ লোক ক্যান্সারে, দুই লাখ লোক কিডনি রোগে, দেড় লাখ লোক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে।

এছাড়াও দেশে প্রতিবছর গর্ভবতী মা ১৫ লাখ বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম দিচ্ছেন। ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে দেশে হেপাটাইটিস, কিডনি, লিভার ও ফুসফুস সংক্রমিত রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বেড়েই চলেছে।

আরও পড়ুন