Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫


রিপোর্টারের নাম :
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

দাঁতে পোকা বলতে কিছুই নেই: ডা. অনুপম পোদ্দার

Main Image

আসলে দাঁতে পোকা বলতে কিছুই নেই


দাঁত ও মাড়ির সমস্যা এবং তার চিকিৎসা নিয়ে কথা বলেছেন দেশের বিশিষ্ট ডেন্টিস্ট ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. অনুপম পোদ্দার। ডক্টর টিভির স্বাস্থ্য সমাধানের অনুষ্ঠানে তিনি দিয়েছেন নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ডা. হুমায়রা বুশরা হোসেন

ডক্টর টিভি: স্যার,  দাঁত এবং মুখের কী কী সমস্যা নিয়ে রোগীরা আপনাদের কাছে আসে?

ডা. অনুপম পোদ্দার: আমাদের দেশের জনগণ যে সকল দাঁতের সমস্যা নিয়ে ডেন্টিস্টদের কাছে অথবা ডেন্টাল হাসপাতালে আসেন সেগুলো হচ্ছে প্রথমত দাঁতের ডেন্টাল ক্যারিস – মানে রোগী দাঁতের তীব্র ব্যাথা নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসেন।

তারা অনুভব করতে পারে দাঁতের মধ্যে গর্ত হয়েছে, তারা বুঝতে পারে দাঁতের মধ্যে খাদ্য জমে যায়, আবার রোগীরা বুঝতে পারে দাঁত শিরশির করে অথবা ঠাণ্ডা বা মিষ্টি খেলে দাঁত শিরশির করে – এসব সমস্যা নিয়ে ডেন্টিস্টের কাছে আসতে পারে।

এছাড়া আরো সমস্যা নিয়ে আসতে পারে যেমন তারা অনুভব করতে পারে মুখে দুর্গন্ধ হয়, মুখে পাথরজনিত সমস্যা নিয়ে আসতে পারে এবং তারা এমন সমস্যা নিয়েও আসে যে দাঁত নড়ছে অথবা পড়ে যাবে অথবা তারা আঁকাবাঁকা দাঁতের সমস্যা নিয়েও আসে। বা মুখে খাদ্য জমে যাচ্ছে – এই সমস্যা নিয়েও আসতে পারে। পাশাপাশি শিশুদের মুখ ও দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আসতে পারে এবং দেখা যায় যে, রোগী ভাঙা দাঁত অথবা ভাঙা চোয়াল বা দুর্ঘটনাজনিত বিষয় নিয়ে চেম্বারে বা ডেন্টিস্টদের কাছে এসে থাকে।

ডক্টর টিভি: স্যার,  ডেন্টাল ক্যারিস বলতে আপনারা কী বুঝান এবং এটা কাদের বেশি হয়ে থাকে ?

ডা. অনুপম পোদ্দার: ধন্যবাদ।  এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, ডেন্টাল ক্যারিস বলতে সাধারণ জনগণ বুঝে দাঁতে পোকা; আসলে দাঁতে পোকা বলতে কিছুই নেই।  যেটা আছে সেটাকে আমরা (চিকিৎসকরা) ব্যাক্টেরিয়া বলে থাকি। আমাদের মুখে হাজারো ধরনের ব্যাক্টেরিয়া থাকে, তার মধ্যে ডেন্টাল ক্যারিস যেটা হচ্ছে দন্ত ক্ষয় রোগ – এইটার জন্যে যে ব্যাক্টেরিয়া দায়ী সেটা হলো ল্যাক্টোবেসিলাস এবং চেপলোকোকাস মিউটেন্ট। আমরা যে খাবার খাই সেই খাবারগুলোর দাঁতের সাথে লেগে থাকলে এই ব্যাক্টেরিয়াগুলো ফ্লাইবারের উপস্থিতিতে আমাদের দাঁতের ক্ষয় করতে থাকে।  এই ক্ষয়টার কারণ হলো সেখানে ল্যাক্টিক এ্যাসিড।  ব্যাক্টেরিয়াগুলো ফ্লাইবারের উপস্থিতিতে তৈরি হয় ল্যাক্টিক এ্যাসিড। সেটাই দাঁতের ক্ষয় করে।

এখন এই ডেন্টাল ক্যারিসটা কাদের হয়? ডেন্টাল ক্যারিসটা হওয়ার কোন বয়স নেই, ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক পর্যন্ত যা কারোই হতে পারে। তবে সাধারণত দেয়া যায় যে যাদের দন্ত ক্ষয় রোগের সম্ভাবনা আছে বা বংশগতভাবেও হতে পারে এবং যাদের এনামেল যাদের দুর্বল এবং এনামেলের গঠনগত দুর্বলতা থাকে তাদের ডেন্টাল ক্যারিসটা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

দেখা যায়, অনেকে বিভিন্ন ধরনের প্রসেস ব্যবহার করে এবং সেই প্রসেসে যদি কোন প্রকার ফল্ট থেকে থাকে তবে তখন ক্ষয় হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় যে আঁকাবাঁকা দাঁত থাকে, সেই আঁকাবাঁকা দাঁত মানুষ ঠিকভাবে পরিষ্কার করতে পারে না– সেখানে খাদ্য জমে যায় আর খাদ্য জমে গিয়ে ডেন্টাল ক্যারিস হতে পারে।

এছাড়া দাঁত পরিষ্কার করার নিয়ম আছে তিন বেলা খাবারের পরে, যারা এসব নিয়ম মেনে চলে না তাদের ডেন্টাল ক্যারিস হতে পারে।

আরও পড়ুন