ডিউটি শেষে রোগী দেখতে না চাওয়ায় ডাক্তারকে হাসপাতাল মালিকের নির্যাতন, গ্রেফতার ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে প্রাইভেট মুক্তি হাসপাতালের আবাসিক ডা. পারভেজ আহমেদকে হাত পা বেঁধে ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ওই হাসপাতালের মালিক খন্দকার মো. হাবিবুর রহমান ও পরিচালক জসিম উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে প্রাইভেট মুক্তি হাসপাতালের আবাসিক ডা. পারভেজ আহমেদকে হাত পা বেঁধে ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ওই হাসপাতালের মালিক খন্দকার মো. হাবিবুর রহমান ও পরিচালক জসিম উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে। রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে হাসপাতালের একটি কক্ষ থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় তাকে নবীনগর থানা পুলিশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় হাসপাতালের ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার সূত্রে এবং সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ডা. পারভেজ আহমেদ দুপুর দেড়টা পর্যন্ত উনার কর্তব্য ডিউটি শেষ করে উনার রুমে বিশ্রামে থাকা অবস্থায় মুক্তি হাসপাতালের মালিক খন্দকার মো. হাবিবুর রহমান ডাকাডাকি করলে ডা. পারভেজ আহমেদ জানান যে তার ডিউটি শেষ এখন জরুরি কোনো রোগী ছাড়া বাহিরে যেতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এসময় খন্দকার হাবিবুর রহমান ও জসিমসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন তার রেস্ট রুমে জোরপূর্বক ঢুকে উনাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারাত্মক জখম ও বিবস্ত্র করে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখে।
হাসপাতালের দায়িত্বরত একাধিক কর্মচারীরা জানান, মালিক এখন হাসপাতালে নেই মোবাইলে যোগাযোগ করুন। আবাসিক ডা. পারভেজ কোথায় আছে জানতে চাইলে তারা জানান, তিনি হাসপাতালে নেই এখন রেস্টে আছেন।
নবীনগর থানার ওসি হুমায়ূন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সময়ের আলোকে বলেন, ডা. পারভেজ আহমেদ মুক্তি হাসপাতালে নিয়মতান্ত্রিকভাবে চাকরি করেন। তার ডিউটি শেষে একটি রোগী আসলে তিনি দেখতে অনীহা প্রকাশ করায় হাসপাতালের মালিক ও ম্যানেজারসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জন লোক তাকে বেদম মারধর করে আহত অবস্থায় ফেলে রাখে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসা শেষে ড. পারভেজ বাদী হয়ে মুক্তি হাসপাতালের মালিক হাবিব ও ম্যানেজার জসিমসহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে নিয়মিত মামলা করেন। ম্যানেজার জসিমকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছি। এই মামলার মূল আসামি পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।