স্বাস্থ্য সেবার গুণগত মান উন্নয়নে ১২ সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন
দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা
দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিষয়ভিত্তিক প্রয়োজনীয় সংস্কার ও চিকিৎসা সেবার গুণগত মান উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালী করতে ১২ সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখা থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনের আদেশ অনুযায়ী, কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ ফয়েজ। সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ শাফি মজুমদার।
কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন- বাংলাদেশ ডায়াবেটিক এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা, এ কে আজাদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান, আইইডিসিআর এর প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান, ওজিএসবির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসি বেগম, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যাপক ডা. ফিরোজ কাদের, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা, ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক বিভাগের অধ্যাপক ডা. শাকিল আহমদ, সিআইপিআর এ সিইও অধ্যাপক ডা. ফজলুর রহমান, বিএসএমএমইউর মেডিসিন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ জলিল চৌধুরী, এমএইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজের ডার্মাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সরকার মাহবুব আহমদ শামীম।
বিশেষজ্ঞ প্যানেলের কার্যপরিধি সম্পর্কে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে-
(১) দেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় বিষয়ভিত্তিক সংস্কারের জন্য নীতি-নির্ধারণ।
(২ ) সব স্তরে চিকিৎসা শিক্ষার বিশ্বমানের স্বীকৃতি এবং উচ্চ শিক্ষাকে আধুনিকায়নের বিষয়ে পরামর্শ প্রদান।
(৩) নগর, গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংস্কার ও কার্যকর।
(৪) স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে সব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জনবল ও যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি-নির্ধারণী ও কাঠামোগত সংস্কার সম্পর্কিত পরামর্শ প্রদান।
(৫) দেশের প্রধান প্রধান চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন- বিএমডিসি, বিএমআরসি, বিএনএমসিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের রেগুলেটরি কাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কার ও শক্তিশালীকরণের বিষয়ে পরামর্শ প্রদান।