মাতৃমৃত্যু রোধে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য
মাতৃমৃত্যু
বিশ্বব্যাপী ২০০০ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার এক তৃতীয়াংশ কমেছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম। তিনি বলেন, মাতৃমৃত্যু রোধে বাংলাদেশ অভাবনীয় উন্নতি করেছে, এমনকি বাংলাদেশে এটি আরও চিত্তাকর্ষকভাবে প্রায় ৩৮ শতাংশ কমেছে।
বুধবার (১৫ মে) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘গ্লোবাল ডায়ালগ : ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. নাতালিয়া কানেম বলেন, বিশ্বব্যাপী যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের অধিকার লাভ লাখ লাখ মানুষের জীবনকে বদলে দিয়েছে। ১৯৯০ সাল থেকে আধুনিক গর্ভনিরোধক ব্যবহারকারী নারীর সংখ্যা বিশ্বব্যাপী দ্বিগুণ হয়েছে। ২০০০ সাল থেকে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোরীদের মধ্যে গর্ভধারণ এক-তৃতীয়াংশ কমেছে। এমনকি অসংখ্য দেশ প্রজনন অধিকার রক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে অনিরাপদ গর্ভপাত কমানোর ব্যবস্থা এবং ব্যাপক যৌনতা শিক্ষায় প্রবেশাধিকার প্রসারিত করা।
তিনি বলেন, আজ একজন নারী হওয়া অনেক বেশি নিরাপদ, বেনিনে হোক বা বাংলাদেশে; একটি শিক্ষা অর্জন করা সহজ, সন্তান জন্ম দেওয়া নিরাপদ, একটি মেয়ের পক্ষে তার জীবনের গতিপথ বেছে নেওয়া আরও বেশি সম্ভব। তবুও আমাদের স্বীকার করতে হবে যে অসমতা এখনো রাজত্ব করছে, অনেক নারী ও মেয়েকে সেই অগ্রগতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এমনকি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সত্ত্বেও অনেকগুলো বড় গ্যাপ রয়ে গেছে। অতএব জনসংখ্যাগত স্থিতিস্থাপকতা এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য সেই গ্যাপগুলো পূরণ করুন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। এছাড়াও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ অনেকে।