চট্টগ্রামে নকল ওষুধ কারখানায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান
চট্টগ্রামের মেহেদীবাগে নকল ওষুধ কারখানায় অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত
চট্টগ্রামের মেহেদীবাগে নকল ওষুধ কারখানায় অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় মো. আহসানুল কবির (৫৬) ও সুলতানা রাজিয়া (৩৫) নামের দুইজনকে অর্থদণ্ডসহ জেল-জরিমানা করা হয়।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে মেহেদীবাগের শহীদ মির্জা লেনের নুর ভিলায় এ অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী।
এ সময় প্রায় ৫ লাখ টাকার নকল ও অনুমোদনহীন ওষুধ জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও অংশ নেন।
অভিযানে যথাযথ কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স ছাড়া এজেন্ট পরিচালনা করা, লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ মজুত ও সরবরাহ, নকল ও ভেজাল ওষুধ মজুত, দামের তারতম্যসহ বেশ কয়েকটি অপরাধের প্রমাণ পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহীদ মির্জা লেনের একটি ভবনে অভিযান চালানো হয়। লাইসেন্স ছাড়া কোম্পানির এজেন্সি পরিচালনা, নকল ও ভেজাল ওষুধ মজুত ও সরবরাহ এবং আভিযানিক দলের সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে মো. আহসানুল কবিরকে দোষী সাব্যস্ত করে ওষুধ ও কসমেটিকস আইনে দেড় লাখ টাকা এবং রাজিয়া সুলতানাকে একই আইনে দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রাজিয়া সুলতানা জরিমানা পরিশোধ না করায় তাকে সাজা পরোয়ানামূলে চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, দুই ব্যক্তিই স্বীকার করেছেন, তারা এসব নকল ও ভেজাল ওষুধ বিক্রয় ও বিপণণের সাথে জড়িত। পাশাপাশি জব্দকৃত সমস্ত ওষুধ জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়েছে।
এছাড়াও এসব অবৈধ ওষুদের সম্ভাব্য বিপণনকারী দোকানগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেসব চিকিৎসক এসব নকল, ভেজাল ও অনুমোদনহীন ওষুধ প্রেসক্রাইব করছেন তাদের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে জানান তিনি।