প্রস্রাবের সংক্রমণ থেকে শিশুদের কিডনি অকেজো হয়: বিশেষজ্ঞ অভিমত
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু কিডনি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রস্রাব ইনফেকশন স্কিনিং’ শীর্ষক অনুষ্ঠান
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, শিশুদের প্রস্রাবের সংক্রমণ থাকলে ধীরে ধীরে কিডনি অকেজো হয়ে যায়। মেয়ে শিশুর ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। এ কারণে শিশুদের ঘন ঘন জ্বর হলে প্রস্রাব পরীক্ষা করা জরুরি। জন্মগত এই ত্রুটি দ্রুত নির্ণয় ও চিকিৎসা শুরু করা গেলে শিশু কিডনি রোগ অনেকটা রোধ করা সম্ভব।
বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু কিডনি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রস্রাব ইনফেকশন স্কিনিং’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে শিশু কিডনি বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে নগরের রৌফবাদে ছোটমনি নিবাস ও সরকারি শিশু পরিবারের (বালিকা) আবাসিক শিশুদের ‘প্রস্রাব ইনফেকশন স্কিনিং প্রোগ্রামের’ আয়োজন করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু কিডনি বিভাগ।
তারা ছোটমনি নিবাসের শতাধিক কন্যাশিশুর তাৎক্ষণিক প্রস্রাব পরীক্ষা করেন। প্রাথমিকভাবে ইনফেকশন ধরা পড়া শিশুদের (পজিটিভ) নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়। এ সময় শিশুদের হাতে উপহার হিসেবে শিক্ষাসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। তাছাড়া, উন্নতমানের খাবার আয়োজনে আর্থিক সহায়তাও দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু কিডনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মারূফ-উল-কাদের বলেন, জন্মগত ত্রুটি হিসেবে শিশুদের প্রস্রাব ইনফেকশন হয়। সঠিক সময়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা শুরু করা না হলে নীরবে শিশুদের কিডনি ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে পড়ে।
এ সময় চমেক হাসপাতালের শিশু কিডনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুষ্মিতা বিশ্বাষ, চট্টগ্রাম ছোটমনি নিবাসের উপ-তত্ত্বাবধায়ক তানজিনা আফরিন, সরকারি শিশু পরিবারের (বালিকা) উপ-তত্ত্বাবধায়ক তাসনিম আকতার, চমেক শিশু কিডনি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. মুরাদ চৌধুরী, সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. শাম্মী আকতার, মেডিকেল অফিসার ডা. সৌরভ দেব বাপ্পী, শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের রেসিডেন্ট ডা. সুপ্তা দাশ, ডা. মো. সাজ্জাত হোসাইন, ডা. মো. তৌহিদুল ইসলাম, ডা. নুসরাত আজমির আকতার ও ডা. অমিত দাশসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।