প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক নেয় ৩৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ মানুষ
গবেষণার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম
এন্টিবায়োটিক গ্রহন করেছে ৭১ দশমিক ৮ শতাংশ। এর মধ্যে প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক নিয়েছেন ৩৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ মানুষ। সম্প্রতি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরী মেডিসিন এন্ড রেফারেল সেন্টার এর মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত গবেষণা কার্যক্রমের ফল প্রকাশকালে এ তথ্য জানানো হয়।
৩১ আগস্ট এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।
এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) সহ বিশিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন এনআইএলএমআরসির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাহেদ আলী জিন্নাহ।
গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল বিভিন্ন ধরনের ক্লিনিকাল Spceimen থেকে প্রাপ্ত Resitant Pathogenic Bacteria কে পৃথক করে তার Genome Sequencing করে antibiotic এর যৌক্তিক ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরা।
গবেষণা কার্যক্রমটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের PMR এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ২০২২ এর অক্টোবর থেকে ২০২৩ এর মে পর্যন্ত পরিচালিত হয়। গবেষণার আওতায় ৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ৪টি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১৩ হাজার ৩শ’ ৫০টি Primary Culture কালচার সংগ্রহ করা হয়।
গবেষণা কার্যক্রমের নমুনার Criteria ছিল MDRO (Multi Drug Resistant Organisum) এবং PDR (Pan Drug Resistance Organisum) তিন বা ততোধিক এন্টিবায়োটিক ক্যাটাগরির কমপক্ষে ১টি করে এন্টিবায়োটি Resitant পাওয়া গেলে তাকে MDRO এবং সব ধরনের এন্টিবায়োটিক Resistant পাওয়া গেলে তাকে PDR বলা হয়।
Clinical sample হিসেবে নেয়া হয় wound swab, urine, blood, sputum, endotracheal aspirate, pus এবং অন্যান্য।
১১৪৯ টি স্যাম্পলের এর মধ্যে MDRO এবং PDR পাওয়া গিয়েছে ৮.৬১% যার মধ্যে wound swab থেকে পাওয়া গিয়েছে সবচেয়ে বেশী ৩৯.৫%। MDRO সবচেয়ে বেশী পাওয়া গিয়েছে ২০ বছরের নীচে রোগীর (২৯.২%) পুরুষ (৫১.৪%) এবং এন্টিবায়োটিক গ্রহনের ইতিহাস আছে (৭১.৮%) যার মধ্যে ৩৮.৬৭% প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক গ্রহন করেছে।
অনুজীব সবচেয়ে বেশী ছিল Pseudomonas (২৫.৪১%)। জীবনগুলোর মধ্যে থেকে Ion torrent Genome sequencer দিয়ে random sampling এর মাধ্যমে ৩২ টি জীবানুর targeted Genome sequencing এই প্রতিষ্ঠানে সম্পন্ন করা হয়। সব ধরনের এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের বিরুদ্ধে ৩০ ধরনের antibiotic resistant Gene পাওয়া গিয়েছে। যার অধিকাংশই বাংলাদেশে প্রথমবারের মত স্বাস্থ্য বিভাগে সনাক্তকরন করা হয়েছে।
গবেষণার সুপারিশে বলা হয়েছে, সমগ্র বাংলাদেশ প্রকৃত অবস্থা বোঝার জন্য এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের Whole Genome Seqeencing করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে Resistant জীবানুর বিরুদ্বে কার্যকর এন্টিবায়োটিক সনাক্তকরন সহ একটি এন্টিবায়োটিক গাইডলাইন প্রনয়ন করা সম্ভব যা সর্বস্তরে বাস্তবায়নের মাধ্যমে এন্টিবায়োটিক Resitant প্রতিরোধে সহায়তা করবে এবং জনগন উপকৃত হবে।