জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সব কিশোরীদের টিকা দেওয়া জরুরি
৫ম থেকে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে টিকা পাবে।
জরায়ুমুখ ক্যান্সার নারীদের একটি ভয়াবহ ব্যাধি। এ ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী নারীদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। বিশ্বে প্রতি দুই মিনিটে একজন নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করেন এবং প্রতি বছর ৫০ লক্ষাধিক নারী নতুন করে আক্রান্ত হন।
জরায়ুমুখ ক্যান্সার ১৫-৪৫ বছর বয়সের নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে ক্যান্সারের লক্ষণ প্রকাশের প্রায় ২ থেকে ২০ বছর আগেই একজন নারী এ রোগের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হন। আমাদের দেশে বিভিন্ন ক্যান্সারের মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সারে নারীদের আক্রান্তের হার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে সরকার এবার ইপিআই কর্মসূচিতে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা সংযোজন করতে যাচ্ছে। এর ফলে আমাদের দেশের নারীদের জীবন রক্ষা পাবে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট এর সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত “ ওরিয়েন্টেশন ফর চিফ এডিটর, জার্নালিস্ট, মিডিয়া প্রফেশনালস অন এইচপিভি ভ্যাক্সিন অ্যাওয়ারনেস বিল্ডিং” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ এইচপিভি টিকা সংযোজনের তথ্য জানান।
এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচির আওতায় দেশের ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সি মেয়েদের টিকা দেওয়া হবে। ৫ম থেকে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে টিকা পাবে। এছাড়া শিক্ষার বাহিরে থাকা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েরা নির্দিষ্ট টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকা গ্রহন করতে পারবে।