মাতৃমৃত্যু রোধে বাড়াতে হবে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক প্রসব সেবা
২০৪১ সালের মধ্যে দেশে মাতৃমৃত্যুর হার শূন্যতে নামিয়ে আনতে বর্তমান সরকার কাজ করছে
দেশে বর্তমানে মাত্র ৫০ শতাংশ প্রসব সেবা হয় প্রতিষ্ঠানভিত্তিক। এর মধ্যে ১৪ শতাংশ প্রসব সেবা সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে হয়। মাতৃমৃত্যু রোধে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক প্রসব সেবা বাড়াতে হবে।
নাটোরে ইউনিয়ন পর্যায়ে সব স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সপ্তাহের প্রতিদিন স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারে অবহিতকরণ কর্মশালায় বক্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
বুধবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ কর্মশালা উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশে মাতৃমৃত্যুর হার শূন্যতে নামিয়ে আনতে বর্তমান সরকার কাজ করছে। বর্তমানে এ মৃত্যু হার প্রতি লাখে ১৬৩ জন। রক্তক্ষরণ, খিঁচুনি, পায়ে পানি জমা এবং প্রসব উত্তর সংক্রমণে মাতৃমৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ জন্য প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব সেবা নিশ্চিত করা। কিন্তু বর্তমানে মাত্র ৫০ শতাংশ প্রসব সেবা হয় প্রতিষ্ঠানভিত্তিক। এর মধ্যে মাত্র ১৪ শতাংশ প্রসব সেবা সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে হয়।
সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে প্রসব সেবা বৃদ্ধি করতে প্রশিক্ষণ ও উপকরণ সুবিধা বৃদ্ধি, প্রাতিষ্ঠানিক গতিশীলতা বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট কমিটির সক্রিয়তার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোসা. মাহফুজা খানমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক এনামুল হক, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আশরাফুল ইসলাম, নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান, নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, সহকারী পরিচালক ডা. আব্দুর রউফ মল্লিক প্রমুখ।
