বিশ্ব থাইরয়েড দিবস আজ
২৫ মে বিশ্ব থাইরয়েড দিবস
আজ ২৫ মে (বৃহস্পতিবার), বিশ্ব থাইরয়েড দিবস। থাইরয়েড বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ২০০৯ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। আমাদের দেশে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে গত কয়েক বছর ধরে দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।
থাইরয়েড সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড আল্যায়েড সায়েন্সের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এ কে এম ফজলুল বারী বলেন, বিয়ের পরে বাচ্চা নেওয়ার আগে অবশ্যই দম্পতির থাইরয়েড পরীক্ষা ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর কনসিভ করতে হবে। তা না হলে বাচ্চা বিকলাঙ্গ হওয়াসহ নানান ঝুঁকি থাকে।
অ্যাসোসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল এন্ড্রোক্রাইনোলজি অ্যান্ড ডায়াবেটোলজিস্ট অব বাংলাদেশ (এসিইডিবি) এর সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন বলেন, সুস্থ মা, সুস্থ সন্তান এবং সুস্থ জাতি গড়তে থাইরয়েড বিষয়ে গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে। প্রতিনিয়ত থাইরয়েডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তবে সে অনুযায়ী চিকিৎসক বাড়ছে না। বাংলাদেশে সরকারি পুরোনো ৮টি মেডিকেল কলেজে এ চিকিৎসা দেওয়া হয়। নতুন করে আরও ৬টি মেডিকেল কলেজে এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ খোলার মাধ্যমে হরমোনজনিত রোগের চিকিৎসার জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে সরকারি পর্যায়ে প্রায় ১০০ হরমোন বিশেষজ্ঞ কাজ করে যাচ্ছেন। আর বেসরকারি পর্যায়ে ২০০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কাজ করছেন।
ডা. এ কে এম আমিনূল ইসলাম বলেন, সুস্থ নবজাতকের জন্য সুস্থ মা একান্ত প্রয়োজন। মায়ের থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা থাকলে এর প্রভাব নবজাতকের ওপর পড়ে। নবজাতকের থাইরয়েড হরমোনের অভাব শিশুর স্বাভাবিক শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটায়। যার ফলশ্রুতিতে শিশু প্রতিবন্ধিতে পরিণত হতে পারে। শিশুকে এ প্রতিবন্ধিতার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রতিটি নবজাতকের জন্মের সাথে সাথে থাইরয়েড হরমোন পরীক্ষা করা একান্ত জরুরি।