দেশেই মেডিকেল ডিভাইস তৈরি করতে হবে : ডিজি ঔষধ প্রশাসন
দেশেই মেডিকেল ডিভাইস তৈরি করতে হবে : ডিজি ঔষধ প্রশাসন
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেছেন, বাংলাদেশে মেডিকেল সরঞ্জামের ৪ হাজার কোটি টাকার মার্কেট। এর মাত্র ৬ থেকে ৮ শতাংশ দেশে উৎপাদন হয়। বাকি ৯২ ভাগ পুরোপুরি আমদানি নির্ভর। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দেশের উদ্যোক্তা, আমদানিকারক ও সংশ্লিষ্টদের সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর মহাখালী ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে মেডিকেল সরঞ্জাম উৎপাদক ও আমদানিকারকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ সব কথা বলেন ঔষধ প্রশাসন প্রধান।
মেজর জেনারেল মো. ইউসুফ বলেন, মেডিকেল ডিভাইস উৎপাদনে দেশের সক্ষমতা বাড়াতে উদ্যোক্তা, আমদানিকারক ও সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানানো হয়েছে। এরসঙ্গে বিশেষজ্ঞদেরও ডেকেছি। যারা এসব সামগ্রী ব্যবহার করেন, তাদের চাহিদা জানা হচ্ছে। ডিভাইসগুলোর উৎপাদন কীভাবে বাড়াতে পারি- সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের দেশে সব কিছু উৎপাদন সম্ভব। আমরা টেকনিক্যালি অনেক অগ্রসর।
তিনি বলেন, মেডিকেল ডিভাইস আমদানি নির্ভর হওয়ায় বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়। আবার প্রয়োজনের সময় অনেক ডিভাইস পাওয়া যায় না। তবে দেশে এই মুহূর্তে ডিভাইসের সংকট নেই। ডলারের দাম বেশি হলেও আমদানিকারকরা ডিভাইস নিয়ে আসছেন বলে জানান ঔষধ প্রশাসনের প্রধান।
ডিজি বলেন, সরকারের কাছে আমরা আবেদন জানাবো যাতে বেজা, বেপজা এসব এলাকায় স্বল্পমূল্যে তাদের ভূমির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। ঋণের সুদের হারের বিষয়ে এসএমই ও সরকারের যেসব খাত আছে, সেখানে নির্দিষ্ট হারের চেয়ে কমিয়ে তাদের ঋণ দেওয়া যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
মেজর জেনারেল মো. ইউসুফ আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- ডিভাইসের উৎপাদনে কাঁচামাল আমদানিতে ট্যাক্স যাতে কমিয়ে দেওয়া হয়। সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে প্রশাসন, এনবিআর, অর্থ মন্ত্রণালয়, বানিজ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে আজকেই চিঠি লিখছি। যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলো মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এগিয়ে নেয়ার কথা বলেন তিনি।