গ্লুকোমা রোগ চোখের নিরব ঘাতক
'আপনার দৃষ্টি রক্ষা করুণ, সুন্দর পৃথিবী উপভোগ করুন' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস পালিত
'আপনার দৃষ্টি রক্ষা করুণ, সুন্দর পৃথিবী উপভোগ করুন' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস পালিত হয়েছে। বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটি আয়োজিত অনুষ্ঠানটি রাজধানীর হারুন আই ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ফ্রি গ্লুকোমা স্কৃনিং এর মধ্য দিয়ে শুরু হয়।
এসময় বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা: হাসান শহীদ তার বক্তব্যে বলেন, গ্লুকোমা রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব কিন্তু নিরাময় সম্ভব নয়। দৃষ্টি যতটুকু হ্রাস পেয়েছে তা আবার ফিরিয়ে আনা কঠিন। তবে দৃষ্টি যাতে আর কমে না যায়, তার জন্য আমাদের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। এছাড়া, দেশব্যাপি লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মানুষকে সচেতন করেছে বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটি- এ কথাও জানান হাসান শহীদ।
এপিএও এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. আভা পারভিন বিশেষ অতিথি বক্তব্যে জানান, দেশব্যাপী গ্লুকোমা স্কৃনিং করতে হবে। কমিউনিটি ক্লিনিকে চক্ষু বিশেষজ্ঞ রাখতে হবে। কমিউনিটি ভিশন সেন্টার এই চিকিৎসা করা সম্ভব না। এজন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। কারণ গ্লুকোমায় চোখ অন্ধ হয়ে গেলে আর ফিরে আসবে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা: সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, চোখের কোন রোগ নিয়ে আসলে ডাক্তার যেন চোখের প্রেশার মাপতে ভুল না করেন। চিকিৎসক এবং রোগীর মধ্যে সম্পর্ক সুন্দর না হলে চিকিৎসা ভালো হয় না। গ্লুকোমা নির্নয়ের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের আরও সতর্ক হওয়ার আহবান জানান তিনি।
বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইফতেখার মো: মুনির বলেন,
গ্লুকোমা চোখের একটি জটিল রোগ যাতে চোখের স্নায়ু ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ধীরে ধীরে চোখের দৃষ্টি কমে যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চোখের অভ্যন্তরীণ উচ্চচাপ এজন্য দায়ী।
অনেক সময় এতে রোগী অন্ধত্ব বরণ করতে বাধ্য হয়। বাংলাদেশে গ্লুকোমা রোগের হার ২.১ শতাংশ এবং গ্লুকোমা রোগে অন্ধ হচ্ছেন ১.২ শতাংশ মানুষ।