প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তাঁর ভাষায়, ‘মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য এর যথেচ্ছা ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি করা যাবে না।’

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে পঞ্চম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি প্রণয়ন সম্পর্কিত খুলনা বিভাগীয় কর্মশালায় বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন তিনি। 

সরকারের নেয়া উন্নয়নমূলক কর্মসূচি তুলে ধরতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,  আওয়ামী সরকার গঠনের পর গত কয়েক বছরে স্বাস্থ্যসেবার ব্যাপক মান উন্নয়ন করা হয়েছে। নিয়োগ দেয়া হয়েছে ২০ হাজার ডাক্তার ও ২৫ হাজার নার্স। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে দোরগোড়ায় পৌঁছানো হয়েছে। দেশের সরকারি হাসপাতালের শয্যা বাড়িয়ে ৬০ হাজারের বেশি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পঞ্চম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি প্রণয়নের জন্য আজ এই বিভাগীয় কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। বিগত কর্মসূচিগুলোয় সংক্রামক রোগ নিয়ে বেশি কাজ করা হয়েছে। আগামীতে ক্যান্সার, কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের মতো অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকর উদ্যোগের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা পেতে মানুষকে ব্যক্তিগত ব্যয় কমানোর পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে মানুষকে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনে উৎসাহিত করার কথা বলেন তিনি। 

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থসেবা বিভাগের  সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাশেদা আকতার, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী ও খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

স্বাগত রাখেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুগ্ম-সচিব শায়লা শার্মিন জামান।

মুক্ত আলোচনা পর্ব পরিচালনা করেন স্বাস্থসেবা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব হুমায়ুন কবীর খন্দকার।