ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন মিললে চতুর্থ ডোজ
ইতিমধ্যে দেশের মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে
করোনা থেকে জনগণকে সুরক্ষা দিতে বিশ্বের বেশ কিছু দেশ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এই ভাইরাসের প্রতিষেধকের চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর অনুমোদন দেয়নি।
বাংলাদেশে অনুমোদন ছাড়াই দুই হাজারের অধিক মানুষ এই ডোজ নিয়েছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রয়োগের জন্য ডব্লিউএইচওর অনুমোদনের অপেক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
বুধবার (২৮) সেপ্টেম্বর অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, গত ২৫ আগস্ট শুরু হওয়া ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম এতদিন সিটি করপোরেশন এলাকায় চলছিল। আগামী ১১ অক্টোবর থেকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে দেশের মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। তবে বুস্টার ডোজ দেওয়ার লক্ষ্য এখনও পূরণ হয়নি। এরই মধ্যে ৯৭ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ, ৯০ শতাংশ দ্বিতীয় এবং ৪১ শতাংশ তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। এতে গতি আনতে ছয় দিনের বিশেষ কর্মসূচি চলছে। এটি ৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। এরপর আর প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে না। তবে বুস্টার ডোজ চলবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, কভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচিবিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।