ডেঙ্গু মোকাবিলায় তিন করণীয়
পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়লে প্রথম থেকেই প্রচুর পানি, ফলের রস জাতীয় ফ্লুইড গ্রহণ করা উচিত
চারিদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। এ জন্য ডেঙ্গু প্রতিরোধে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সময়মতো চিকিৎসা না করালে এই জ্বর প্রাণঘাতী পর্যন্ত হতে পারে।
তবে কোনটি ডেঙ্গু জ্বর আর কোনটি সাধারণ জ্বর তা নিয়ে অনেকেই দ্বন্দ্বে থাকেন বলে সময়তো চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না।
ডেঙ্গু জ্বরের বেশ কয়েকটি উপসর্গ রয়েছে। যেমন- ডেঙ্গু জ্বর হলে উচ্চ মাত্রার জ্বর, কারও কারও সর্দি ও ঠান্ডা লাগে। সেই সঙ্গে মাংসপেশি এবং শরীরের বিভিন্ন গাঁটে অসম্ভব ব্যথা থাকে। কারও কারও সারা গায়ে দেখা দেয় দেখা যায়। অনেকের আবার প্রবল মাথাব্যথা, চোখে বা চোখের পেছনে ব্যথা, বমি ও মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা যায়।
ডেঙ্গু জ্বরের কোনো ওষুধ এখনও নেই। ফলে রোগের আক্রান্তদের উপসর্গের চিকিৎসা করা হয়। পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়লে প্রথম থেকেই প্রচুর পানি, ফলের রস জাতীয় ফ্লুইড গ্রহণ করা উচিত। এর চিকিৎসা বলতে প্যারাসিটামল এবং ফ্লুইড দেওয়া।
১০ শতাংশ ক্ষেত্রে জ্বর নেমে গিয়ে রোগী যখন সুস্থ হতে শুরু করে তখনই হিমোকনসেন্ট্রেশন হয়ে যেতে পারে। একে বলে রিকভারি ফেজ কমপ্লিকেশন। চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু সাধারণত ১০ দিনের রোগ। যদিও সবার ক্ষেত্রে এ তত্য প্রযোজ্য নয়।
সমস্যা এবং তার সমাধান এই সময়কালেই সম্ভব। এ জন্য জ্বর হলে কোনো দিক না ভেবে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডেঙ্গুর মূলে এডিস মশা। এ জন্য মশা তাড়ানোর জন্য নিমপাতা ব্যবহার করতে পারেন। নিমপাতা স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। মশা তাড়াতে ঘরে নিমপাতা পোড়াতে পারেন। খাবারের তালিকায় নিমপাতা রাখতে পারেন।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় করণীয়
> ড্রামে বা বাড়ির কোথাও যেন পানি না জমে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। কোনো জায়গায় যেন দীর্ঘদিন বর্জ্য জমে না থাকে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
> দিন-রাতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করুন। এছাড়া মশার কামড় থেকে বাঁচতে রেপেল্যান্টস ব্যবহার করতে হবে।
> ডেঙ্গু মৌসুমে বাইরে গেলে হাত-পা ঢেকে থাকে, এমন পোশাক পরুন।