চিকিৎসা গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে বর্তমানে ক্যান্সারে দিনে প্রায় আড়াইশ, হৃদরোগে আড়াইশ এমনকি সাপের কামড়েও দিনে প্রায় ১৫ জনের মতো মানুষ মারা যাচ্ছে
চিকিৎসা গবেষণার কাজে প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, জাতীয় স্বার্থের কথা বিবেচনায় নিয়ে চিকিৎসা গবেষণায় জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। জাতীয় ইস্যুগুলো চিহ্নিত করে সঠিকভাবে গবেষণা কাজগুলো চালিয়ে নিতে হবে। এটি ঠিকভাবে করা গেলে এমডিজি অর্জনের মতো এসডিজি অর্জনেও আমরা সফল হতে পারব।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর বিয়াম মাল্টিপারপাস হলে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কলাণ বিভাগ আয়োজিত সমন্বিত স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিল কার্যক্রমের আওতায় গবেষণা অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ওরস্যালাইন আবিষ্কারের আগে কেউ জানত না এত সহজে এত বড় চিকিৎসা উপাদান আবিষ্কার করা যেতে পারে। অথচ এখন সহজেই জানা যাচ্ছে লবণ, পানি, চিনি মিশ্রিত করে সহজ উপাদান দিয়ে ওরস্যালাইন বানানো যায়। এগুলো গবেষণার সুফল। তাই গবেষণার কাজে প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ বাড়ানো হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের দেশে বর্তমানে ক্যান্সারে দিনে প্রায় আড়াইশ, হৃদরোগে আড়াইশ এমনকি সাপের কামড়েও দিনে প্রায় ১৫ জনের মতো মানুষ মারা যাচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ যেখানে বিশ্বে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে; সেখানে শব্দদূষণ, পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশ এখনো বিশ্বের তলানির সারির দেশের কাতারেই আছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, বর্তমানে মানুষের শ্বাসকষ্ট বেশি হচ্ছে, ক্যান্সার, হৃদরোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে, এগুলোর পাশাপাশি দেশে শব্দ ও পরিবেশ দূষণ খুব বেশি বেড়ে গেছে। এগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে গবেষণা কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে মজবুত একটি দেশ। অথচ দেশের এই সুন্দর সময়ে এসে মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটানো যাবে না সেটি হতে পারে না। এ কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে গবেষণা খাতে জোর দিতে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এ গবেষণার কাজকে খুবই তাৎপর্যের সঙ্গে দেখতে হবে। দেশের স্বার্থের কথা বিবেচনায় নিয়ে যে যে খাতে গবেষণা জরুরি সেগুলো প্রায়োরিটি দিতে হবে।
দেশে অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকের অনিয়ম ঠেকাতে স্বাস্থ্য খাতের অভিযান চলমান থাকবে এবং প্রয়োজনে আরও জোরালো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সমন্বিত স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান গবেষণা অ্যাওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাচিপের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এনায়েত হোসেন প্রমুখ।