৭৯ শতাংশ বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ
১৬১টি বেসরকারি হাসপাতাল কখনোই নিবন্ধন করেনি, যা শতাংশ ১৪ শতাংশ
অবৈধ ও অনিবন্ধিত ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান চলছে। এমন অভিযানের মধ্যে আইসিডিডিআর-বি বলেছে, ১৪ শতাংশ বেসরকারি হাসপাতাল নিবন্ধনের জন্য কখনো আবেদনই করেনি।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে আইসিডিডিআর-বি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির ম্যাটার্নাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ ডিভিশনের (এমসিএইচডি) সিনিয়র ডিরেক্টর ডা. শামস এল আরেফিন।
তিনি বলেন, দেশে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিযান পরিচালনা করেছে। এ বিষয়টি দেখতে ইউএস-এইডের সহায়তায় আমরা ১২ সিটি করপোরেশনের ১০টি জেলার ২৯টি উপজেলায় একটি গবেষণা জরিপ পরিচালনা করি। এতে স্থানীয় সিভিল সার্জনসহ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল সহায়তা করে।
ডা. শামস বলেন, গবেষণাটি করতে গিয়ে ১১৮৯টি বেসরকারি হাসপাতালকে অ্যাসেসমেন্টের (মূল্যায়ন) জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়। কিন্তু তাদের মধ্যে ৪০টি হাসপাতালই সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানায়। সবশেষে ১১১৭টিতে অ্যাসেসমেন্ট করা হয়।
তিনি বলেন, জরিপ করা ১১১৭টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে ৯৫৬টি হাসপাতাল কোনো এক সময় নিবন্ধনের আওতায় এসেছিল, যা শতকরা ৮৬ শতাংশ। আর বাকি ১৬১টি বেসরকারি হাসপাতাল কখনোই নিবন্ধন করেনি, যা শতাংশ ১৪ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, কোনো এক সময় নিবন্ধনের আওতায় আসা ৯৫৬টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে ৮৮৬টির (৭৯ শতাংশ) লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল, ৬৬টি হাসপাতালের (৬ শতাংশ) বৈধ লাইসেন্স ছিল এবং বাকি চারটি হাসপাতাল (দশমিক ৫ শতাংশ) এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮০ সাল থেকে দেশে বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমের অগ্রগতি শুরু হয়। অগ্রগতিটা সবচেয়ে বেশি হয় ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত। বর্তমানে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্য সেবার জন্য নির্ভর করে বেসরকারি হাসপাতালের ওপর। বেসরকারি হাসপাতালের ওপর মানুষের এই নির্ভরশীলতার কারণ হলো সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা, পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ নানা সংকট।
গবেষণায় আরও বলা হয়, ১৯৮২ সালের আইন অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে স্বাস্থ্যসেবার ৭টি শর্ত/নিয়ম মানতে হয়। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব শর্ত পূরণ করে স্বাস্থ্যসেবা দিতে গেলে নানা বাঁধার মুখে পড়তে হয়, যে কারণে কোয়ালিটি স্বাস্থ্য সেবা দিতে সমস্যা হয়।