নিবন্ধনে দিনে ৩০০ আবেদন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে
অবৈধ সব প্রতিষ্ঠান বন্ধের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন
অবৈধ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হওয়ার পরপরই হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিবন্ধনের জন্য আবেদনের হিড়িক পড়েছে।
এক সপ্তাহে ২ হাজার ১৩৬টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন ও নিবন্ধন নবায়নের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করেছে। তবে অবৈধ সব প্রতিষ্ঠান বন্ধের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৬ মে থেকে ১ জুন— এই সাত দিনে ২ হাজার ১৩৬টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৪৫টি আবেদন করা হয়েছে নতুন প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের জন্য। বাকি ১ হাজার ২৯১টি আবেদন করা হয়েছে নিবন্ধন নবায়নের জন্য।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বছরের অন্যান্য সময়ে সপ্তাহে ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০টি আবেদন জমা পড়ত। এখন দৈনিক তিন শতাধিক আবেদন জমা পড়ছে।
২৫ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত সভায় সারা দেশে নিবন্ধনহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পরদিন থেকে নিবন্ধনহীন প্রতিষ্ঠান বন্ধের অভিযান শুরু হয়। বৃহস্পতিবার (২ জুন) পর্যন্ত সারা দেশে ১ হাজার ৪৫৬টি অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২ হাজার ৭১৩টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন অনুমোদনের অপেক্ষায় (পেন্ডিং) ছিল। অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠানের আবেদনে ত্রুটি ছিল। অন্যদিকে নতুন ২ হাজার ২৮টি প্রতিষ্ঠানের আবেদনপত্র ঠিকঠাক থাকলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পরিদর্শন হয়নি বলে তারা নিবন্ধন পায়নি। অর্থাৎ প্রায় ৫ হাজার প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের অপেক্ষায় আছে।
এ পর্যন্ত নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৯২২টি। এর মধ্যে ৭ হাজার ৪৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ৩ হাজার ৭১৭টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক এবং ১৬২টি ব্লাড ব্যাংক।