৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে পারকিনসন্স রোগের কারণ অজানা

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2022-04-11 15:23:58
৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে পারকিনসন্স রোগের কারণ অজানা

এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির চলাফেরা ধীর হয়ে যায়, কর্মক্ষমতা কমতে থাকে

দেশে পারকিনকন্স রোগে ষাটোর্ধ্বদের ঝুঁকি বেশি বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। তাদের মতে, শতকরা ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে পারকিনসন্স রোগের কারণ অজানা। পাঁচ শতাংশ জেনেটিক। বাকি ২৫ শতাংশ যেমন- স্ট্রোক, টিউমার, বারবার মস্তিষ্কে আঘাত, ইনফেকশন, উইলসন ডিজিজসহ মস্তিষ্কের রোগের কারণে হয়ে থাকে।

সোমবার (১১ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মিল্টন হলে বিশ্ব পারকিনসন্স দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব তথ্য জানান।

অনুষ্ঠানে পারকিনসন্স রোগ সম্পর্কে মুভমেন্ট ডিজঅর্ডার সোসাইটি অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও বিএসএমএমইউর নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাসান জাহিদুর রহমান বলেন, ‘পারকিনসন্স রোগ মস্তিষ্কের অসুখ। ষাটোর্ধ্বদের সাধারণত এ অসুখ হয়। ষাট বছরের নিচে কিছু মানুষ রোগটিতে আক্রান্ত হতে পারেন।’

তিনি বলেন, ‘এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির চলাফেরা ধীর হয়ে যায়, কর্মক্ষমতা কমতে থাকে। দৈনন্দিন কাজকর্ম সঠিকভাবে সম্পাদন করতে অসুবিধা হয়। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করতে পারলে এবং নিয়মিত ওষুধ খেলে রোগী স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে পারেন। চিকিৎসা না নিলে ধীরে ধীরে রোগ বাড়তে থাকে, এক পর্যায়ে রোগী শয্যাশায়ী হতে পারেন।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপের ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সূচক আন্তর্জাতিক মহলে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন নিউরোডিজানেরেটিভ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পারকিনসন্স রোগ এগুলোর মধ্যে অন্যতম।’

তিনি বলেন, ‘দেশের ষাটোর্ধ্ব প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষের জন্য আজকের দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাদেরই এ রোগটি বেশি হয়। এ রোগ যাদের আছে, তারা অবহেলা করে এবং বেশি বেশি ধুমপান করে, তাহলে রোগের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, ডায়েট কন্ট্রোল, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সবুজ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. রাসেল, সহকারী অধ্যাপক ডা. ফাতেমা জোহুরা, রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার বনিক প্রমুখ।


আরও দেখুন: