ভাসমানদের দেওয়া হবে জনসনের টিকা

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2022-01-30 15:05:01
ভাসমানদের দেওয়া হবে জনসনের টিকা

কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া জনসনের ৩ লাখ ৩৬ হাজার টিকা ব্যবহার করা হবে

ভাসমান মানুষদের টিকার আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘এসব মানুষদের জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজ টিকা দেওয়া হবে।’

রোববার (৩০ জানুয়ারি) মহাখালীর বিসিপিএস মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘জনসনের টিকা এক ডোজ দিলেই হয়। তাই ভাসমান মানুষদের এ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া ৩ লাখ ৩৬ হাজার টিকা ব্যবহার করব।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে এখন পর্যন্ত ১৫ কোটি ৭০ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকার আওতায় এসেছে ৯ কোটি ৭০ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে ৬ কোটির বেশি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১০ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের ১ কোটি ৪০ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল খুলে দেওয়া বিষয়ে ইউনিসেফ নির্দেশনা দিয়েছে। আমাদের সরকার শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করতে চায়। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্কুল খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকাদানের বয়সসীমা পাঁচে নামানোর বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তারা পর্যালোচনা করে জানাবে। তাদের বার্তা পেলে টিকার বয়সসীমা পাঁচ বছরে নামিয়ে আনা হবে।’

তিনি বলেন, ‘করোনার বুস্টার ডোজের জন্য আগে বয়সসীমা ছিল ৫০ বছর। আজ থেকে তা কমিয়ে ৪০ বছর করা হলো। ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী শিশুদেরও সবাইকে টিকা দেওয়া হবে। যারা স্কুলে যায় না, তারা জন্মসনদ নিয়ে এলে টিকা পাবে, না নিয়ে এলেও পাবে। রোববার থেকেই ৪০ বছরের বেশি বয়সী সবাই করোনা প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।’

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে দেশে করোনার টিকাদান শুরু হয়। এরপর ১ নভেম্বর থেকে ঢাকায় ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। আর গত ২৮ ডিসেম্বর সারা দেশে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পরে বুস্টার ডোজ বা তৃতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। যে আগে যে হাসপাতাল থেকে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, সেই হাসপাতাল থেকে তার মোবাইলে বুস্টার ডোজের তারিখ জানিয়ে এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। সেই কেন্দ্রে নির্ধারিত দিনে গিয়ে তৃতীয় ডোজ নিতে হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘৫০ বছরে কমিয়ে আনার পরও দেখা গেছে খুব বেশি মানুষকে বুস্টার ডোজের আওতায় আনা যাচ্ছে না। এ কারণে বয়সসীমা আরও কমিয়ে এনেছি। আমাদের হাতে বুস্টার ডোজ দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিঞা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, টিকা কর্মসূচির পরিচালক অধ্যাপক ডা. শামসুল হক প্রমুখ।


আরও দেখুন: