দেশে থাইরয়েড হরমোনজনিত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2021-12-04 12:45:51
দেশে থাইরয়েড হরমোনজনিত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি

বাংলাদেশ অ্যান্ডোক্রাইন সোসাইটি (বিইএস) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলন এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশে সম্ভাব্য থাইরয়েড হরমোনজনিত রোগীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি। এদের মধ্যে প্রায় তিন কোটি রোগীই জানেন না তারা এ সমস্যায় আক্রান্ত।

বাংলাদেশে হরমোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন ‘বাংলাদেশ অ্যান্ডোক্রাইন সোসাইটি (বিইএস)’ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলন এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হরমোন সমস্যা সমাধানে সকলকে সচেতন করতে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এই সম্মেলন, বিজ্ঞান মেলা ও সাধারণ সভার আয়োজন করে বিইএস।

সম্মেলনে বিইএস প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক পাঠান বলেন, বাংলাদেশে সম্ভাব্য থাইরয়েড হরমোনজনিত রোগীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি। এদের মধ্যে প্রায় তিন কোটি রোগীই জানেন না, তারা এ সমস্যায় আক্রান্ত।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ২৫ শতাংশ। বিষয়গুলো খুব বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে না; এটা খুব ভয়াবহ।

অধ্যাপক ফারুক পাঠান বলেন, মাতৃগর্ভ থেকেই শিশুর থাইরয়েড গ্রন্থি তৈরি হয়। যদি মাতৃগর্ভে শিশুর থাইরয়েড গ্রন্থি সঠিকভাবে তৈরি না হয়, তাহলে সে পৃথিবীতে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আসবে। গর্ভধারণের আগেই থাইরয়েড সমস্যা পরীক্ষা করা দরকার। পরিণত বয়সেও এ রোগের প্রকোপ যথেষ্ট আছে।

তিনি বলেন, এ বিষয় নিয়ে শুধু আলোচনা করলেই হবে না। বিশেষজ্ঞ আলোচক যারা আছেন, তাদের সঙ্গে সরকারের বিশেষ ভূমিকা আছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে অংশীদার হিসেবে আমরা কাজ করতে চাই। সরকারের সহযোগিতা ছাড়া কোনো কাজ করা সম্ভব নয়।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য ও পরিবার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নুর সকল ধরনের সহযোগিতার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের আশ্বাস দেন।

আন্তর্জাতিক অ্যান্ডোক্রাইন কনফারেন্সে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে জেনেটিক ইনভেস্টিগেশন প্রয়োজন। এখন প্রায়ই এমন অনেকে আসেন যাদের সন্তানদের বয়স বাড়লেও শারীরিক গঠন বাড়ছে না। এই  সমস্যা সমাধানে আরো গবেষণা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, নারীদের ক্ষেত্রে এখন এই সমস্যা বেশি লক্ষণীয়। নারীদের থাইরয়েড হরমোনজনিত সমস্যা পুরুষদের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি।

কনফারেন্সে বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. এম ইকবাল আর্সলান, ডিরেক্টর জেনারেল (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেসের (বিইউএইচএস) ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. হাজেরা মাহতাব, বারডেম হাসপাতালের সাবেক ডিরেক্টর জেনারেল অধ্যাপক ডা. জাফর আহমেদ লতিফ প্রমুখ।


আরও দেখুন: