বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণে বিএসএমএমইউতে ইনফার্টিলিটি চিকিৎসা চালু
বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণে বিএসএমএমইউতে ইনফার্টিলিটি চিকিৎসা চালু
নারীদের বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণে ইনফার্টিলিটি চিকিৎসায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ডিম্বাশয়ে স্টেম সেল থেরাপি প্রতিস্থাপনের কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপ্রোডাক্টিভ অ্যান্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড ইনফার্টিলিটি বিভাগে বুধবার এক অনুষ্ঠানে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘যে নারী মা ডাক শুনতে পায় না, তার মতো দুঃখী আর কেউ নেই। সন্তান না হওয়ায় অনেকের সংসার স্থায়ী হয় না। স্টেম সেল চালু হওয়ায় প্রাথমিক ওভারিয়ান ফেলিউরের কারণে যে বন্ধ্যাত্বের সৃষ্টি হয়, তার অবসান ঘটবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপ্রোডাক্টিভ অ্যান্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড ইনফার্টিলিটি বিভাগ দেশে বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় বিভাগের আরও আধুনিকায়ন ও উন্নয়নের আশ্বাস দেন উপাচার্য।
এতে সভাপতিত্ব ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. জেসমিন বানু। তিনি বলেন, বিএসএমএমইউতে ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের সহায়তায় স্টেম সেল সংগ্রহ করা হয়।
অন্য বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে নানা কারণে ডিম্বাশয়ে ডিম্বানুর স্বল্পতাজনিত বন্ধ্যাত্বের সমস্যা উল্লেখজনক হারে বেড়ে চলেছে। এসব রোগীদের প্রাকৃতিকভাবে বা স্বাভাবিক উপায়ে গর্ভধারণের সম্ভাবনা মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ।
তারা বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বায়োলজিক্যাল মা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তাই ডোনার ডিম্বানু বা ভ্রুণের ওপর নির্ভর করতে হয় যা আমাদের দেশে সামাজিক বা ধর্মীয় বিধি নিষেধের জন্য সম্ভব হয় না।
ডিম্বাশয়ে স্টেম সেল ইনজেক্ট বা প্রতিস্থাপনের ফলে নতুন ডিম্বানু তৈরির করার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইনফার্টাইল রোগীদের বায়োলজিক্যাল মা হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের সর্বাধুনিক সংযোজন।
বাংলাদেশে এই প্রথম স্টেম সেল প্রয়োগের মাধ্যমে বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় নবদিগন্তে প্রবেশ করেছে বিএসএমএমইউ।
অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক প্রমুখসহ রিপ্রোডাক্টিভ অ্যান্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড ইনফার্টিলিটি বিভাগ ও ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।