স্ট্রোকের ৩৬ শতাংশই অনিয়ন্ত্রিত জীবনে অভ্যস্ত

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2021-10-27 17:11:55
স্ট্রোকের ৩৬ শতাংশই অনিয়ন্ত্রিত জীবনে অভ্যস্ত

বিশ্ব স্ট্রোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনার

দেশে স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর ৩৬ শতাংশই অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে অভ্যস্ত বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেলের (ঢামেক) নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম।

বুধবার ঢামেকে বিশ্ব স্ট্রোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারের মূল প্রবন্ধে তিনি এ তথ্য বলেন।

ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খাদ্যাভ্যাসের অনিয়ম স্ট্রোকের অন্যতম কারণ হিসেবেও আমরা দেখি। পরিসংখ্যান বলছে, স্ট্রোক রোগীর ২৩ শতাংশই জাঙ্ক ফুডে আসক্ত। এছাড়াও কোলেস্টেরল এইচডিএল কম থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে প্রায় ২৭ শতাংশ।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্ট্রোকে আক্রান্তের অন্যতম কারণ মানসিক চাপ। আর এই রোগে আক্রান্তদের ১৭ শতাংশ মানসিক চাপের শিকার। স্ট্রোকে আক্রান্তের লক্ষণ দেখা মাত্রই ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে। তাহলেই আমরা চিকিৎসার মাধ্যমে তাকে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিতে চেষ্টা করতে পারব। বিশ্বে ৮ কোটি মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন।’

অন্য বক্তারা বলেন, মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমে গেলে ও অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিলে মস্তিষ্কের কোষগুলো মারা যেতে শুরু করে। একে স্ট্রোক বলা হয়। স্ট্রোক দুই প্রকার। একটিকে বলে ইসকেমিক স্ট্রোক। এক্ষেত্রে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমে যায়। সাধারণত রক্তনালীর ভেতর জমাট বাঁধা রক্তপিণ্ড এ সমস্যা করে। মোট স্ট্রোকের ৮০ শতাংশই এ ধরনের স্ট্রোক।

অপরটি হলো হেমোরেজিক স্ট্রোক। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে এটি দেখা যায়।

পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর সাত লাখ মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। এদের মধ্যে মারা যান এক লাখ ৬০ হাজার। আমেরিকানদের মৃত্যুর তৃতীয় কারণ স্ট্রোক। বাংলাদেশেও এই সংখ্যা কম নয়। স্ট্রোকে আক্রান্তদের দুই-তৃতীয়াংশই মারা যান বা চিরতরে পঙ্গু হয়ে যান। দক্ষিণ এশীয়দের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেশি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢামেক অধ্যক্ষ ডা. মো. টিটো মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক, উপ-অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শফিকুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।


আরও দেখুন: