বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী পুরুষের সংখ্যা বাড়ছে, দেশেই মিলবে চিকিৎসা
যথাসময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াসহ ভুক্তভোগীদের স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের প্রতি আরও যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গর্ভধারণে অক্ষমতা কিংবা বন্ধ্যাত্বের জন্য চিরায়ত নিয়মে দায় চাপে নারীর ঘাড়ে। দেশে নিঃসন্তান দম্পতির পারিবারিক কলহসহ বিবাহ বিচ্ছেদের মতো ঘটনাও নেহায়েত কম নয়। তবে চিকিৎসকদের মতে, এই অক্ষমতার জন্য কেবল নারী নয়, দায়ী হতে পারেন নারী-পুরুষ উভয়ই।
দেশে বন্ধ্যাত্বের শিকার প্রতি ১০০টি পরিবারে প্রায় ৩০ শতাংশ পুরুষই সন্তান জন্মদানে অক্ষম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত এক সেমিনারে মিলেছে এমন তথ্য।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আর বিদেশ নয়, এখন দেশেই বন্ধ্যাত্বের অত্যাধুনিক চিকিৎসা হবে। আর এ ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নজির স্থাপন করবে।’
যথাসময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াসহ ভুক্তভোগীদের স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের প্রতি আরও যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
বিএসএমএমইউ’র এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, ‘দিনদিন বন্ধ্যাত্বের জন্য পুরুষ দায়ী এমন রোগী বাড়ছে। জন্মগত ও জেনেটিক কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে চিকিৎসায় আমরা অনেক এগিয়েছি, মোটামুটি ভালো ফল পাচ্ছি এখন।’
প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হাসনা হেনা পারভীন বলেন, ‘এক বা একাধিক বছরের চেষ্টায় সন্তান ধারণে ব্যর্থ হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তবে যাদের মাসিকজনিত জটিলতা বা অন্যান্য রোগ আছে, তাদের ক্ষেত্রে এক বছর অপেক্ষা করা সমীচিন হবে না।’
ডক্টর টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বন্ধ্যাত্বের ক্রমবর্ধমান হার নিয়ে উদ্বেগ জানান বিএসএমএমইউ’র গাইনি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. জেসমীন বানু।
তবে তিনি বলেন, বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। দেশেই মিলছে বন্ধ্যাত্বের সর্বাধুনিক চিকিৎসা। বয়স ও মাসিকজনিত জটিলতার বিষয়টি মাথায় রেখে রোগীকে দুই ভাগে চিকিৎসা উপযোগী করা হচ্ছে। এছাড়াও আধুনিক অনেক চিকিৎসা হচ্ছে দেশে।
কোলজুড়ে একটি শিশু আর ঘরজুড়ে তার ছুটোছুটি প্রত্যেক দম্পতির স্বপ্ন। তবে আরও অনেক অপূর্ণ স্বপ্নের মতো এই স্বপ্নটিও অপূর্ন থেকে যায় অনেকের। এমন বিড়ম্বনা এড়াতে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনে যত্নবান হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।