ঘুমের স্বাস্থ্যবিধি
ঘুমের স্বাস্থ্যবিধি (ইনসেটে ডা. ইমদাদুল মাগফুর, সাইকিয়াট্রিস্ট)
ঘুম আমাদের জীবনের এক অত্যাবশকীয় অংশ। একজন মানুষ তার জীবনের প্রায় ৩ ভাগের ১ ভাগ ঘুমিয়ে কাটায়। ঘুম বিধাতার দেয়া মানুষের জন্য এক বিরাট উপহার ; শরীরের সারাদিনের বিভিন্ন ক্ষয় নিরাময় ছাড়াও মানসিক প্রশান্তি ও শারীরিক সুস্থতায় ঘুম অত্যাবশকীয়। শরীর ভালো রাখতে গেলে যেমন পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতা (হাইজিন) দরকার; ঘুম ভালো হতে গেলেও তেমন স্লিপ হাইজিন আছে। ঘুম ভালো হতে গেলে, করা যাবেনা কিছু কাজ; করতে হবে কিছু কাজ।
করণীয় কাজগুলো :
* ঘুমের যায়গা অন্ধকার, আরামদায়ক ও কোলাহল মুক্ত হওয়া।
* বিছানা শুধু ঘুমের জন্য ব্যবহার করা। বিছানায় শুয়ে পড়া,মোবাইল দেখা,আড্ডা না দেয়া।
* প্রতিদিন শারীরিক পরিশ্রম যেমন ব্যয়াম করা; বেশি রাতে ব্যয়াম করা যাবেনা।
* রাতে ঘুমের কিছুক্ষণ আগে কুসুম গরম পানিতে গোসল করা যেতে পারে।
* ঘুমের ঘন্টা দুই আগেই টিভি ফোন এসব থেকে দূরে চলে যাওয়া; ঘুমের আগে ব্রিদিং এক্সারসাইজ করা যেতে পারে।
* বিভিন্ন সমস্যা মাথায় ঘুরলে তা একটা ডায়রিতে লিখে রাখা, পরেরদিন তা নিয়ে কাজ করার কথা নিজেকে বলা।
* শুধু ক্লান্ত হলেই ঘুমাতে যাওয়া এবং একই সময় ঘুমানো এবং ঘুম থেকে উঠার রুটিন মেইনটেইন করা
বর্জনীয় কাজ:
* সন্ধ্যার পর/ রাতে চা কফি পান করা
* মদ্যপান বা ধূমপান
* ঘুমানোর সময় ফোন নিয়ে ঘুমানো, ঘুমের আগে এবং ঘুম না হলে সোশাল মিডিয়া ব্যবহার
* দিনে অতিরিক্ত ঘুমানো
* রাতে বেশি খাওয়া এবং খেয়েই শুয়ে পড়া
* ঘুম না এলে অতিরিক্ত সময় বিছানায় শুয়ে থাকা, নেতিবাচক চিন্তা আসা। ঘুম না এলে কিছু সময় পর পাশের রুমে বা বিছানার পাশেই বসে ব্রিদিং ও রিলাক্সেশন করে ঘুম এলে বিছানায় শুয়ে পড়া....
ঘুম না হওয়া মানসিক রোগের কারণ, লক্ষণ, ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা নিজেই একটা রোগ হতে পারে। তাই আগে কারণ নিশ্চিত হোন- সঠিক নিয়ম, মেডিসেনের মাধ্যমে চিকিৎসা এবং আরো কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি ( সিবিটি,স্লিপ রেস্ট্রিকশন, প্যারাডক্সিকাল ইনজাংশান ইত্যাদি) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে গ্রহণ করুন।
লিখেছেনঃ
ডা. ইমদাদুল মাগফুর
সাইকিয়াট্রিস্ট
এমবিবিএস, এমডি (সাইকিয়াট্রি)