সেহরি খাওয়া কেন প্রয়োজন
সারাদিন না খেয়ে থাকতে হবে তাই অনেকেই সেহেরিতে পরিমানে অনেক বেশি খায়। এটা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
অনেকেই ওজন কমানোর জন্য এবং ঘুমের কারণে সেহরির খাবারটা ঠিক মতো খায় না। যার ফলে বিভিন্ন ধরণের শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। যেমন সেহরির খাবার না খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তার মধ্যে একটি ডিহাইড্রেশন বা পানি শূন্যতা। এই ডিহাইড্রেশন বা পানি শুন্যতার হওয়া কারণে ইলেকট্রোলাইটি ইমব্যালেন্স হতে পারে। এছাড়া দীর্ঘ সময়ে খাবার না খেয়ে থাকার কারণে অ্যাসিডিটি হতে পারে।
সেহেরিতে কোন খাবার খেতে হবে এবং কোন খাবারগুলো না খেলে কি কি ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি।
রমজান মাসে আমাদের সেহেরি খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। অনেকেই ওজন কমানোর জন্য এবং আলসেমির কারণে সেহরির খাবারটা ঠিকমতো খান না। যার ফলে বিভিন্ন ধরণের শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের অনেক বড় সমস্যা হতে পারে। এছাড়া সেহরির খাবার না খেলে বিভিন্ন সময় দেখা যায় স্টোমাক আপসেট হতে যায়। পেটের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। আর সেহেরিতে যদি আমরা ঠিকমতো না খায় তাহলে আমাদের এনার্জির ঘার্তি হতে পারে। যার ফলে আমাদের মাথা ব্যাথা করে, ব্লাড প্রেসার কমে যেতে পারে, তাছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই অবশ্যই আমাদেরকে সেহেরির খাবারটা উপযুক্ত পরিমাণে সঠিক সময়ে খেতে হবে।
সেহেরিতে যেসব খাবার খাবেন
সেহেরিতে ভলো করে খেলে আমরা সারাদিন সুস্থভাবে রোজা রাখতে পারব। এমন খাবার খেতে হবে যেটা ব্যালেন্স ডায়েটের পাশাপাশি আমাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে। তাই সেহেরিতে খাবার সিলেকশন করাটা অত্যন্ত জরুরি। সেহেরিতে আমরা এমন মিল ঠিক করবো যেটাতে কার্বোহাইড্রেড, ফ্যাট, ভিটামিন, মিনারেল এবং পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকতে হবে।
সারাদিন না খেয়ে থাকতে হবে তাই অনেকেই সেহেরিতে পরিমানে অনেক বেশি খায়। এটা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। আবার অনেকে কম খায় যাতে ওজন কমে, এটাও ঠিক না। যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে যার যেমন ক্যালোরির প্রয়োজন সে সেই অনুযায়ী সেহেরিতে খাবার গ্রহণ করবে। সেহেরিতে এমন খাবার খেতে হবে যেটা অনেকক্ষণ পেটে থাকবে এবং ক্ষুধা ও তৃষ্ণা কম লাগবে। এক্ষেত্রে আমরা কার্বোহাইড্রেড এর মধ্যে লাল আটা বা লাল চালের ভাত খেতে পারি। ক্যালোরি ওয়াইস প্রোটিনের সোর্স হিসাবে মাছ, মাংস বা ডিম রাখতে পারি। আর যাদের হজম হয় না তারা দই খেতে পারে।
যেভাবে সেহরিতে পানি পান করবেন
সেহেরিতে আমরা একবারে বেশি পানি না পান ইফতার থেকে সেহেরি পর্যন্ত ধাপে ধাপে পানি খেতে হবে। সেজন্য সেহেরিতে আমাদের একটু আগে উঠতে হবে যাতে আমরা সেহেরির খাবারটা খেয়ে কিছুক্ষণ পায়চারি করে তারপরে আবার পানি খেতে পারি। এভাবে যদি আমরা খাবার গ্রহণ করি তাহলে আমাদের অ্যাসিডের সম্ভাবনা কমে যাবে। অনেকেই সেহেরির খাবার খেয়েই সাথে সাথে পানি খেয়ে শুয়ে পড়ে, সেক্ষেত্রে অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়। এই কারণে আমাদের এই পায়চারি করে তারপর পানি খেতে হবে। আর সেহেরি খাওয়াটা যেমন সুন্নত তেমনি বৈজ্ঞানিক ভাবেও স্বাস্থ্য সম্মত।