রমজানে এলার্জি রোগীর করণীয়
রমজান এলার্জি রোগীর করণীয়-লিখেছেন ডা. মোঃ ফখরুল আবেদীন জনি
রমজানে এলার্জি রোগীদের একটু বাড়তি যত্ন নিতে হবে। যত্নটা হবে আত্মসচেতন এবং ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তাদের অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।
রমজানে সেহরি এবং ইফতারে এলার্জি জনিত খাবার পরিহার এবং যেসব কারণে এলার্জি হতে পারে সেসব বিষয় অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
কারো এলার্জির প্রবনতা থাকলে তাকে এন্টি হিস্টামিন জাতীয় ঔষধ গ্রহন করতে হবে।
গরমে সোলার আর্টিকেরিয়া থেকে বাঁচতে এলার্জি আক্রান্ত রোগীদের ধূলাবালি এড়িয়ে চলতে হবে।
ছাতা ব্যবহার করতে হবে।
সানস্কিন ৫০+ ব্যবহার করতে হবে।
এলার্জির রোগীদের বাইরের খাবার গ্রহন করা যাবে না।
ইফতারের সময় পরিমান মত পানি পান করতে হবে।
সেহরিতে এন্টি হিস্টামিন ঔষধ খেয়ে নিতে হবে।
ওয়াটার প্রুফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উত্তম।
এতে শরীর ঘামে সান স্কিন থাকবে, যা সাধারণ সান স্কিনে নেই।
রমজানে এলার্জি রোগীরা যাতে বেশি না ঘামে সেটা নিশ্চিত করতে হবে এবং সর্বদা কম ঠান্ডা জায়গায় থাকতে হবে।
ডাস্ট এলার্জি পরিহারে সবসময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে।
কারো যদি কোন কসমেটিক ব্যবহারে এলার্জি থাকে তাহলে অবশ্যই তা পরিহার করতে হবে এবং প্রয়োজনে নিকটস্থ স্কিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
এলার্জি আক্রান্ত বাচ্চাদের রোজা না রাখাই উত্তম।
বয়স্কদের মতো বাচ্চাদেরও গরম বা ঘাম হয় এমন জায়গা পরিহার করতে হবে।
নতুন জামা থেকে যাতে এলার্জি না হতে পারে সে জন্য তা যথাযথ পরিস্কার করে তারপর পরিধান করতে হবে।
এলার্জি রোগীদের জন্য পাতলা সুতি কাপড় বেশি আরামদায়ক।
বেশি চুলকানি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ গ্রহন করতে হবে।
এলার্জি রোগীদের সারা বছর হাঁচি, কাশি লেগে থাকে। তাই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের তার খাবার সম্পর্কে জানতে হবে। নিজে ও পরিবারের সদস্যদের সচেতনতার মাধ্যমে রোজার পাশাপাশি সারাবছর এলার্জি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
লেখক :
ডা. মোঃ ফখরুল আবেদীন জনি,
এমবিবিএস, পিজিটি (স্কিন এন্ড ভিডি, ডিএসএমও), কুমিল্লা সিভিল সার্জন অফিস।