রোজায় বুক জ্বালাপোড়া রোধে করণীয়
অনেকের অভ্যেস খাওয়ার পরপরই বিছানায় শুয়ে পড়া। এটা করা যাবে না
প্রত্যেক মুসলিম প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কের সক্ষম নারী-পুরুষের নামাজ, রোজাসহ শরিয়তের সব হুকুম পালন করা ফরজ। রোজা ও নামাজ ফরজ হওয়ার জন্য বয়স মুখ্য নয়, কেউ বালেগ হলে বা সাবালকত্ব অর্জন করলেই তার ওপর রোজা ও নামাজ ফরজ হয়ে যায়।
রোজায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা খুব সাধারণ একটি বিষয়। সাধারণত খাদ্যাভাস, সুষম উপাদানের পরিবর্তে বেশি ভাজাপোড়া খেলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। অনেকের শেষ বিকেলে বমিবমি ভাব দেখা দেয়। সারা দিন অনাহার বা উপবাসের কারণে এমন হয়ে থাকে। তবে এ নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। মূলত পেটে জমে থাকা এসিড বের হওয়ার কারণে বমিবমি ভাব হয়। তবে পেটে সমস্যা তৈরি করে এমন খাবার গ্রহণের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনে ওমিপ্রাজল খাওয়া যেতে পারে।
রোজায় বুক জ্বালাপোড়াকে চিকিৎসা বিদ্যার পরিভাষায় রিপ্যাক্স সিনড্রম বলা হয়। এটির কারণে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হলে তাকে আমরা রিপ্যাক্স ডিজিস বলে থাকি। এ রোগের প্রধান উপসর্গ বুক জ্বালাপোড়া করা। বুকে ব্যথা হয়, মুখে পানি আসে। টক পানি আসে। অনেক সময় হৃদরোগের ব্যথার সাথে এ ব্যথার মিল পাওয়া যায়। এজন্য অনেকে মধ্যে এ ব্যথা ভীতির কারণ হয়ে ওঠে।
এ ধরনের সমস্যা হলে চিকিৎসার আগে প্রতিরোধ করা বেশি প্রয়োজন। এজন্য অতিরিক্ত তৈলাক্ত, চর্বিযুক্ত ও ফ্রাইড খাবার পরিহার করা দরকার। আরও কিছু নিয়ম মেনে চললে রোগটি প্রতিরোধ করা যায়। তাহলো- একবারে পেটভর্তি করে খাবার খাওয়া যাবে না। অল্প পরিমাণে বারবার খেতে হবে। খাওয়ার সাথে সাথে পানি পান করা ঠিক না। কিছুক্ষণ পরে পান করতে হবে।
অনেকের অভ্যেস খাওয়ার পরপরই বিছানায় শুয়ে পড়া। এটা করা যাবে না। খাবার গ্রহণের অন্তত দুই ঘণ্টা পর বিছানায় যেতে হবে। এর পাশাপাশি ওমিপ্রাজল জাতীয় ওষুধ খেলে উপকার হবে। এর মধ্যে আমরা এক্সিয়াম মাপস খাওয়ার পরামর্শ দেই, এটি খুবই কার্যকর। ওষুধটি সকাল-বিকেল দুটি করে খেলে স্বস্তিতে থাকা সম্ভব হবে।