পিরিয়ড চলাকালে কী খাব, কী খাব না
মাসিকের ফলে মেয়েদের শরীর অনেক বেশি ক্ষয় হয়। দেখা দেয় আয়রনের ঘাটতি
ছেলে ও মেয়ে একই সত্তা হলেও তাদের সবকিছুই আলাদা। টিনেজ থেকেই মেয়েদের পুষ্টির চাহিদা ছেলেদের থেকে ভিন্ন হয়। কারণ মেয়েদের ক্ষেত্রে এ বয়সে পিরিয়ড বা মাসিকের বিষয়টি যুক্ত থাকে।
মাসিকের ফলে মেয়েদের শরীর অনেক বেশি ক্ষয় হয়। দেখা দেয় আয়রনের ঘাটতি। ফলে অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বেশি হয়। সুস্থ জাতি গঠনে মেয়েদের এ ঘাটতি পূরণে মনোযোগী হওয়া জরুরি।
এ সময় অভিভাবকরা সচেতন না হলে পরে এই মেয়েই যখন মা হবে, নিজের সাথে গর্ভের সন্তানও রক্তশূন্যতায় ভুগবে। এজন্য মেয়েদের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়া দরকার। মাসিক হলে হরমোনাল পরিবর্তনের সাথে শরীর থেকে অনেক বেশি আয়রন বের হয়ে যায়। এজন্য এ সময়ে প্রচুর পরিমাণে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
গাঢ় রঙের খাবারে সাধারণত আয়রন বেশি থাকে। গাঢ় সবুজ শাক-সবজিতেও প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকে। আয়রনের পাশাপাশি ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবারও দিতে হবে। এতে শরীরে আয়রনের শোষণ প্রক্রিয়া ভালো হবে। আয়রন জাতীয় খাবার বা মাছ-মাংস খাওয়ার সময়, সাথে লেবু দিতে হবে। তাহলে শরীরে আয়রনের শোষণ খুব কার্যকর হবে।
নদী ও সমুদ্রের বিভিন্ন ধরনের শুটকি মাছে আয়রনের পরিমাণ অনেক ভালো থাকে। ব্রাউন রাইসেও যথেষ্ট আয়রন রয়েছে। আমাদের প্রচলিত খাবারেও আয়রন রয়েছে। যেমন আখের গুড়ের শরবত হতে পারে আয়রনের অন্যতম একটি উৎস।
তবে আয়রন জাতীয় খাবার খাওয়ার সময় বেশি বেশি চা-কফি পানের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কিশোর বয়সে পিরিয়ড শুরু হলে পড়াশোনার চাপে রাত জাগতে হয়। এ সময় অনেকে কিছু সময় পরপর চা কিংবা কফি পান করেন। এগুলো শরীরে আয়রন শোষণে ব্যাঘাত ঘটায়। আরেকটি বিষয়ে নজর দিতে হবে। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের সময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। কারণ পানি কম পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।