ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য ডায়েট খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা অনেকে মনে করি, ডায়েবেটিস হলে আমরা অনেক কিছুই খেতে পারবো না। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। একসঙ্গে বেশি না খেয়ে, আমাদের অল্প অল্প করে বেশি খাবার খেতে হবে।

তবে মিষ্টি বা কোমল পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ কোমল পানীয় রক্তের শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই আমরা বলি, এমন খাবার খেতে হবে যেখানে হার্বোহাইড্রেট কম থাকে। শাক-সবজি ও কাঁচা ফলমূল খেতে হবে আর সঙ্গে প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে হবে।

আবার অনেকে মনে করে, ভাত খাওয়া যাবে না, শুধু রুটি খেতে হবে। এটিও ভুল ধারণা। ভাত বা রুটি দুটিই খেতে পারবে। কারণ, দুটিই শর্করা জাতীয় খাদ্য। তবে তা পরিমাণমত খেতে হবে।

বর্তমানে অনেক ডায়েট প্রচলিত আছে। গবেষণায় বলা হচ্ছে- সবচেয়ে উপকারী ডায়েট হলো মেরিটেরিয়ান ডায়েট। এই ডায়েটে শাক-সবজি পরিমাণই বেশি। আবার অনেকে চর্বি জাতীয় ডায়েটের কথা বলছেন। কিন্তু এটি ঠিক নয়।

আর খারাপ ডায়েট হলো কিটো ডায়েট। তবে যারা দুয়েক মাসের মধ্যে ওজন কমাতে চাই, তাদের জন্য এটি ভালো। কিন্তু যারা ডায়েবেটিসের রোগী তাদের জন্য কিটো ডায়েট অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। কারণ, গবেষণায় এসেছে, এতে তাদের কিডনি নষ্ট হতে পারে ও আয়ু কমে যেতে পারে। তাই ডায়েবেটিস রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ডায়েট প্ল্যান করা উচিত নয়।